মৌপ্রিয়া : কী গো তুমি এখন ও রেডি হওনী? কখন রেডি হবে বলো তো সত্যি তুমি সব বিষয়ে এমন করো আমার ভালো লাগে না আর।

শুভ: আচ্ছা তুমি রাগ করছো কেন আমি এখন ই রেডি হয়ে যাচ্ছি, তবে তুমি আজ পার্টিতে গিয়ে বেশি কথা বলতে যেও না কারণ তুমি একবার কথা বলতে শুরু করলে কী বলতে কী বলো তোমার তো আবার ঠিক থাকে না।

মৌপ্রিয়া : তুমি এমন কেন বলছো শুভ আমি তো একটু কথা বলতে বেশি পছন্দ করি তুমি জানোই।

শুভ: হুম জানি তবে সবসময় তোমার সব জায়গায় কথা বলা ঠিক না এটাও তো বুঝতে হবে।

মৌপ্রিয়া : হুম বুঝতে পারলাম 🥺( সত্যি শুভ তুমি হয়তো আর কখনো ই বুঝতে পারবে না আমি কী চাই)

শুভ: কী হলো, চুপ করে আছো কেন যাও গিয়ে তুমি রেডি হয়ে নাও।

মৌপ্রিয়া : হুম যাচ্ছি।

আজ কেন জানি না তোমার কথা খুব মনে পড়ছে আবীর কেন জানি মনে হচ্ছে তুমি থাকলে কখনো আমার সাথে এমন করতে না তুমি আমাকে বুঝতে এটা আমি জানি শুভ মতো এমন করতে না।

শুভ : মৌপ্রিয়া হলো তোমার তাড়াতাড়ি নিচে আসো আমি গাড়ি বের করছি।

মৌপ্রিয়া : আসছি

৩০ মিনিট লেগে গেল আমাদের যেতে গাড়িটা একটা বড় রির্সোডের সামনে দাঁড় করালো শুভ।

শুভ : নামো এবার, আর হ্যাঁ শোনো আজকে পার্টিটা আমাদের কোম্পানিতে যে টাকা ইনভেস্ট করেছে মানে আবীর সিনহা ওনার জন্য আমাদের কোম্পানির স্যার তরুণবাবু এই পার্টি দিচ্ছে তো গিয়ে ওনার সাথে একটু হাসিখুশি ভাবে কথা বলো তাহলে ভবিষ্যতে আমাকে কোম্পানির জন্য হেল্প করতে পারবে।

মৌপ্রিয়া : আবীর সিনহা, 🙂 আবীর নাম টা শুনলে এখন ও মনটা অস্থির হয়ে উঠছে আমার আবীর না তো।

শুভ : কী চলো এবার ভিতরে যায় তাহলে।

মৌপ্রিয়া : হুম চলো।

তরুনবাবু :Good evening ladies and gentleman

আজকে আমি এই পার্টিটা যার জন্য থ্রো করেছি সে আমার খুব প্রিয় আমার একজন ভালোবাসার মানুষ আবীর সিনহা
please come here আবীর 😀

আবীর : Thank you sir 😊

মৌপ্রিয়া : আবীর 😦 আমার আবীর।

শুভ : কী হলো তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে হবে চল্ সবাই পরিচয় করছে আবীর স্যার এর সাথে আর তুমি দাঁড়িয়ে আছো চল, গিয়ে পরিচিত হবে।

মৌপ্রিয়া : আমি 😦 না মানে।

শুভ : না মানে কী 😡 এসব করো বলেই তোমাকে কোথায় নিয়ে আসতে চাই না আমি। আমার মান সম্মান কিছুই কোনো মূল্য নেই তোমার কাছে।

মৌপ্রিয়া : ( শুভ কীভাবে বলবো তোমাকে যে আবীর সিনহা আজ এতো বড় কম্পানির মালিক সে আমার আবীর আমি কীভাবে ওর সামনে গিয়ে দাড়াবো ৩ বছর পর এখন) বলছি শুভ আমার শরীর টা খুব খারাপ করছে।

শুভ: মানে কী মৌপ্রিয়া তোমাকে আমি পরিচয় করার কথা বলছি আর তুমি এসব বাহানা করছো। কী সমস্যা তোমার ওনার সামনে যেতে। আমার কিন্তু প্রচুর রাগ হচ্ছে 😡

আবীর : কী ব্যাপার মিস্টার শুভ কেন আপনার রাগ হচ্ছে।

শুভ : স্যার আপনি 😀 তেমন কিছু ই না আপনি চলে আসলেন এখানে আমারই যেতাম ওখানে আপনার সাথে দেখা করতে আসলে প্রচুর লোক তো ওখানে তাই ভাবলাম একটু পরেই যায়।

আবীর : না না ঠিক আছে আসলে কী বলেন তো জীবনে কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের সাথে নিজে থেকে গিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে ধরে নিন আপনি তার মাঝে একজন।

শুভ: আচ্ছা 😀 বুঝতে পারলাম যায় হোক আমার wife এর সাথে আপনারা পরিচয় করিয়ে দিই এই হলো আমার wife মৌপ্রিয়া চ্যাটার্জি।

আবীর :আচ্ছা 😊 Hi কেমন আছো 😊

মৌপ্রিয়া : hello ভালো আপনি কেমন আছেন।

আবীর: যেমন দেখছো 😀

তরুণবাবু : শুভ একটু শোনে

শুভ: হ্যাঁ স্যার বলছি মৌপ্রিয়া তোমারা কথা বলো আমি স্যার ডাকছে একটু আসছি।
আবীর স্যার তাহলে কথা বলুন একটু।

আবীর : ওকে,

মৌপ্রিয়া : আবীর তুমি এতো বড় হতে আমি কখনো ভাবিনী জানো।

আবীর : হুম সেটায় মৌ, জানলে কখনো ছেড়ে যেতে না বলো। বেকার ছিলাম বলে যাকে ছেড়ে চলে গেলে তুমি কী ভাগ্যের পরিহাস দেখ আজ সে, তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছো আবীর সিনহা হয়ে অনেক পরিশ্রম অনেক স্ট্রাগল করে।

মৌপ্রিয়া : হুম, তবে এখন বুঝতে পারি আবীর প্রতিটা দিন যে তোমার সঙ্গে আমি অন্যায় করেছি তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসতে।

আবীর : আবীর বাসতাম না এখন ও বাসি সারা জীবন মানে মৃত্যুের আগ আবধি বাসবো। তোমার কাছে আমি প্রাক্তন হতে পারি কিন্তু আমার কাছে তুমি প্রথম দিন যেমন ছিলে আজও তেমন আছো।
তবে তুমি আমাকে সেদিন ছেড়ে না গেলে আজ আমি আবীর সিনহা এতো বড় কম্পানিয়ন হতে পারতাম না যায় বলো মৌ আমার সাফল্যের পিছনে তোমার অবদান কম নই কিন্তু। এই জন্য বুঝি লোকে বলে একটা ছেলের সাফল্যের পিছনে একটা মেয়ের অবদান থাকে।
তবে আফসোস কী জানো মৌ?

মৌপ্রিয়া: কী বলো।

আবীর : আমি তোমাকে এতো ভালোবাসেছি তুমি কেন আমাকে ভালোবাসলে না মৌ। শুধু তখন বেকার ছিলাম তাই ছেড়ে চলে গেলে।

মৌপ্রিয়া : আবীর সত্যি বলতে আমি এখন বুঝি তোমার মূল্য ।

আবীর : সময় থাকতে মূল্য দিতে হয় না হলে এভাবে প্রাক্তন হয়ে যায় সম্পর্কগুলো।
যায় হোক তুমি ভালো আছো ভালো থেকো এটায় চাই।

তরুনবাবু : আবীর চলো একটা কেক কাটার আয়োজন করেছে আমাদের কোম্পানির কলিগরা

শুভ : হুম চলুন স্যার। মৌপ্রিয়া চলো

আবীর : ঠিক আছে চলুন তাহলে

মৌপ্রিয়া (আবীর কেক কাটছিলো আর আমি অবাক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর ভাবছিলাম সত্যিই আমি এই মানুষটাকে আমার জীবন থেকে হারিয়েছি আর সে এখন আমার প্রাক্তন 🥺।)

মনে রাখবে সবাই ভালবাসলে সেই মানুষটাকে সব পরিস্থিতিতে তার পাশে থাকতে হয় কখনো তাকে ছেড়ে দিতে নেই। সত্যিকারের ভালবাসতে শেখো দেখবে মানুষটা কখনো হারিয়ে যাবে না। 💙💙💙💙

 

লেখিকা ( আরাধ্যা রায়)