বন্ধু হওয়া কি এতই সোজা। বন্ধু শব্দের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে একটা এমন সম্পর্ক যেখানে অন্য কোন সম্পর্ক তুচ্ছ মনে হবে।বন্ধু সবাই হতে পারে না বন্ধু হতে গেলে ফ্রেশ মাইন্ডেড হতে হয়। কোন ইগো থাকতে নেই। শুধু যে  সমবয়সী  ছেলেমেয়েরাই বন্ধু হতে পারে এটা ভুল কথা।  মা বাবা বন্ধু হতে পারে যদি তারা বন্ধুর মতো সত্যিই ফ্রেশ মাইন্ডেড হয়ে থাকে। বন্ধু মানে সেখানে লজ্জা থাকবে না ভয় থাকবে না ঘেন্না থাকবে না বন্ধুর সঙ্গে সব শেয়ার করা যায় জীবনের সুখ দুঃখ সবকিছু। বন্ধু মানে একটা হৃদয় দুইটা দেহের  অবিরাম মিল।  বন্ধু মানে হাজার ঝামেলা হবে, রাগ হবে, অভিমান হবে তবুও কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে না সারা জীবন একে অপরের সুখ দুঃখে পাশে থাকবে।  বন্ধুত্ব তো এমন হবে যেখানে বৃদ্ধ বয়সে সবাই চমকে যাবে বলবে কি রে এই বয়সেও তোরা সেই আগের মতই আছিস। বন্ধুত্ব থেকে অন্য সুন্দর সম্পর্ক বুঝি খুব কমই হয়। এমনই একটা গল্প আমি তোমাদের এখন বলব সেটা হয়তো বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু গল্প হলেও অনেকটা সত্যি। 



সপ্না : কী রে দিয়া তুই মুখ ভার করে এভাবে বসে আছিস কেন কাকু কাকিমা বকা দিয়েছে। 

দিয়া : না বকা কেন দিবো, কিছু ই হয়নী।

সপ্না : আচ্ছা তুই এমন কেন বল তো আমি না  তোর বেস্ট ফ্রেন্ড  তুই আমার কাছে থেকে সব কথা লুকিয়ে রাখতে চাস কেন বল তো। 

দিয়া : কী বলবো বল বাবার কাছে টাকা চাইলাম ওই ২জোড়া চুরি পছন্দ হয়েছিলো কিনবো বলে কিন্তু বাবা  বললো এখন টাকা দিতে পারবো না। 

সপ্না: 🙂😊😊 এই ব্যাপার তুই আগে বলবি তো চল আমার সাথে দোকানে এখন ই আমারা চুরি কিনবো আর হাতে পড়বো খুব মজা হবে। 

দিয়া : না,  সব সময় তো  তুই ই সব জিনিস কিনিস আমাকে দিস, আমি তোকে কিছু দিতে পারি না শুধু তোর কাছ থেকে নিয়েই যায়। তোর উচিত হয়নী আমার মতো গরীব মানুষের সাথে বন্ধুত্ব  করা। 

সপ্না : চুপ করবি  , এসব বাজে কথা বলবি না একদম আর বন্ধুত্ব  গরীব বড়লোক দেখে হয় বুঝি, শোন বন্ধু ২টা হৃদয়ের গভীর মিলনে তৈরি হয়। কে বা বলতে পারে তুই আমাকে একদিন এমন একটা গিফট দিলি যেটা  পেয়ে আমি সারাজীবন হয়তো তোর কাছে ঋনী হয়ে থাকতাম।

দিয়া  : তাত কী যে বলিস তুই বন্ধুত্বে  ঋনী বলে কোনো শব্দ হয় নাকি, আর কী  বা দিতে পারবো তোকে  

সপ্না : তাহলে গরীব, বড়লোক টানছিলি কেন। যায়হোক চল এবার চুরি কিনতে । 

দিয়া : চল 


এভাবে খুব সুন্দর দিন কাটছিলো দিয়া সপ্নার। মনে হতো একজন একজনকে ছাড়া অসম্পূর্ণ  কেউ  কাউকে কোনো জিনিস না দিয়ে খেতো না যায়  বাড়িতে ভালো কিছু রান্না হতো সেই টিফিন করে নিয়ে আসতো।  সপ্নার পরিবার বড়লোক ছিলো কিন্তু দিয়া ছিল গরীব। কিন্তু তাতে কী সপ্নার সাথে দিয়ার বন্ধুত্ব  নিয়ে সপ্নার পরিবার কিছু মনে করতো না।

এভাবে   দিন কেটে যাচ্ছিলো। এইবছর   সপ্না, দিয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিবো। কিন্তু হঠাৎ করে সপ্না অসুস্থ হয়ে পড়ে হাত পাতালে ভর্তি করতে হয় সপ্না কে। 


লেখিকা ( আরাধ্যা রায়)  


পরবর্তী পার্ট ২ঃ https://www.oporicita.com/2024/05/blog-post_14.html