ভালোবাসাকে নিয়ে তর্ক করা ঠিক হবে না কারণ ভালোবাসা অনেক সুন্দর আর পবিত্র জিনিস হয়। তাও কিছু কথা বলতে চাই আমি ——-
এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার হৃদয়ে একটুও ভালোবাসা নেই।সবাই ভালোবাসতে জানে, তবে হ্যাঁ এক এক জনের ভালোবাসার ধরন এক এক রকম। কারুর কাছে হয়তো ভালোবাসা মানে একসঙ্গে থাকা,কারুর কাছে আবার ভালোবাসা মানে ত্যাগ, এভাবেই বলে শেষ হবে না।
সত্যি বলতে ভালোবাসাকে সেভাবে বর্ননা করা যায় না। কারণ ভালোবাসা হলো একটা অনুভুতি যেটা কাউকে ভালো না বাসলে কখনো বোঝা যায় না।
হঠাৎ করে কিন্তু কখনো কাউকে ভালোবাসা যায় না কারণ হঠাৎ করে প্রেমে পড়া যায়, কিন্তু ভালোবাসতে হলে সেই মানুষটি প্রথমে সম্মান আর বিশ্বাস করতে হবে,তোমার হৃদয়ে তার প্রতি সম্মান না সৃষ্টি হলে কখনো তোমার তার প্রতি মায়া জন্মাবে না। মায়া থেকে ই কিন্তু ভালোবাসার সৃষ্টি। ভালোবাসার অপর নাম তো মায়া। আর যখন কারুর ওপর মায়া পড়ে যায় মানে হৃদয়ে তার প্রতি, ভালোবাসা জন্মে তখন কেয়ার, দায়িত্ব, কতব্য এমনি চলে আসে।
, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যেখানে সন্দেহ আছে সেখানেই ভালোবাসা আছে
তার মানে কিন্তু এটা দাঁড়ায় না যে তুমি তোমার ভালোবাসর মানুষকে সবসময় সন্দেহ করে তার স্বাধীনতা কেড়ে নিবে, তাকে পেইন দিবে বা তাকে ছেড়ে চলে যাবে।
ভালোবাসলে সেই মানুষটিকে বুঝতে হবে, তার সাথে বন্ধুর মতো ফ্রি হতে হবে। ভালোবাসার মানুষের ওপর রাগ হবে, অভিমান হবে, অভিযোগ থাকবে কিন্তু তাকে আগলে রাখতে হবে তার হাত ছাড়া যাবে না কখনো। সে যেমন তাকে সেভাবে মানিয়ে নিয়ে ভালোবাসতে হবে কঠিন পরিস্থিতিতেই তার পাশে থাকতে হবে ছায়ার মতো।
আমি বর্তমান যুগের ই মেয়ে তাও বলছি, বর্তমান যুগের ভালোবাসা কেমন?
এই যুগের ভালোবাসা মানে প্রথমে সবাই খুঁজে টাকাওয়ালা বাবার ছেলে আর সুন্দরী, রুপসী মেয়ে।
দামি গিফট, কপিসপ রেস্টুরেন্টে যাওয়া আর ফটো তুলে ফেসবুক আপলোড দেওয়া।এখানেই থেমে নেই স্কুল কলেজ টিউশনের নাম করে বাইকে ঘুরে বেড়ানো আর পিজিক্যাল রিলেশন তো আছেই। শুনতে হয়তো খারাপ লাগছে কিন্তু বর্তমানে কিছু হোক বা না হোক পিজিক্যাল রিলেশন হবেই।ভালোবাসার মতো পবিত্র জিনিস এমন নোংরামি করেই বদনাম করছে।
এবার পিজিক্যাল রিলেশন শেষ, দেখা যায় ব্রেকাপ  ২/৩ দিন কান্নাকাটি মন খারাপ  আর sad sad States। এই অবধি নাটক বন্ধ থাকলে তো হয় তারপর হাত পা কাটা প্রমাণ দেওয়া যে আমি ওকে কতটা ভালোবাসতাম। আর আমি বলবো হাত পা কাটলেই ভালোবাসা প্রমাণ দেওয়া হয়ে যায় আচ্ছা, বলো তো যে নিজের শরীর কাটতে পারে সে অন্য কে কীভাবে ভালোবাসবে। যে নিজেকে না ভালোবাসতে পারে সে কখনো অন্য কে ভালোবাসতে পারে না। আবেগ মানুষকে অনেক কিছু করিয়ে নেই।
সত্যি এই যুগের এসব নোংরামির, আর নেকামি, ভালোবাসা মতো পবিত্র জিনিস টা নষ্ট করছে।
তবে, এটা বলবো না যে এখন সত্যিকারের ভালোবাসা নেই। পৃথিবীতে অনেক মানুষ, হয়তো এখন ও সত্যিকারের ভালোবাসা আছে। তবে মজার ব্যাপার কী জানো সত্যিকারের ভালোবাসা সবসময় হেরে যায় কখনো সমাজ, কখনো পরিবার, বা কখনো ভাগ্যের কাছে। কিন্তু, তবু্ও কী জানো কাউকে সত্যি কারের ভালোবাসলে না অন্য রকম একটা আনন্দ হৃদয়ে অনুভব করা যায়। কেননা, ভালোবাসা হলো সৃষ্টিকতার আশীর্বাদ।
ত্যাগ এর মধ্যেও না অন্য রকম একটা সুখ লুকিয়ে থাকে। ত্যাগ কিন্তু সবাই করতে পারে না। কাউকে পাবে বলে সেই আশায় যদি তুমি তাকে ভালোবাসো তাহলে সেটাকে ভালোবাসা বলে না নিরস্বার্থ ভাবে ভালোবাসো দেখবে হৃদয়ে একটা তৃপ্তি বোধ হবে।
 আর এই জন্য বলা হয়েছে পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান হলো হৃদয়বান হওয়া।
যেটা সবাই কিন্তু হতে পারে না
এতোকিছুর পরে আমি বলবো যে আমার কাছে ভালোবাসার জিনিস টা কেমন
ভালোবাসা মানে আমার কাছে ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোরাখা। সে যেভাবে ভালোথাকবে, যেভাবে তাকে ভালোরাখা।

লেখিকা (Aradhya)