অথৈই: চল, আর শোন আজ থেকে আমার সব দায়িত্ব তোর।
হিয়ান: ১মিনিট কোথায় যাবো আর এসব কী বলছিস আর কেনই বা এসব ব্যাগ ট্যাগ এনেছিস।
অথৈই: কেন বুঝতে পারছিস না আমি বাড়ি থেকে একবারে চলে আসছি।আর তুই যেখানে যাবি আমি তোর সাথে সেখানে থাকবো।
হিয়ান: মাথা খারাপ তোর, কী বলছিস এসব তুই তোর আজ বিয়ে। কী বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিস সত্যি বল তো।
অথৈই: কেন বলেছি,পাল্লারে ফ্রেসশিয়াল করতে যাচ্ছি। কিন্তু, শোন আমি আর বাড়ি যাব না।
হিয়ান: সত্যি বলছি তুই এমন করবি জানলে আমি কখনো আজ তোর সাথে দেখা করতে আসতাম না।
বাড়ি ফিরে যা অথৈই।
অথৈই: মাথা ঠিক আছে তোর আজ আমি বাড়ি গেলে তুই আমাকে সারাজীবনের মতো হারিয়ে ফেলবি।তুই আমাকে ভালোবাসিস না বল, তুই আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবি।
হিয়ান: ভালোবাসি তো কী হয়েছে। ভালোবাসলেই কী একসঙ্গে থাকতে হবে। ভালো ভাবে বলছি বাড়ি ফিরে যা।
অথৈই: না, তুই যে বাসায় থাকিস আমি ও ওখানে থাকবো তোর সঙ্গে আর ২জন মিলে একসঙ্গে জব খুঁজবো। দেখিস একটা উপায় ঠিক হয়ে যাবে।
হিয়ান: তুই আমার সম্পকে সব জানিস। আমি বেকার আমার বাবাও আমাকে নিজের ছেলে বলে শিকার ই করে না। না নিজের বাড়ি আছে আর না আছে নিজের মা। থাকি বয়েজ হোটেলে তোকে নিয়ে রাখবো কোথায়।
আর তুই কোন ফ্যামিলির মেয়ে আর আমি।
অথৈই:  তোর পায়ে ধরি, হিয়ান। তুই আমাকে ফিরিয়ে দিস না,বিশ্বাস কর আমি তোকে ছেড়ে থাকতে পারবো না। তুই তো জানিস বল, তুই শুধু আমার বন্ধু না তুই আমার কাছে কী১০মিনিট তোর সঙ্গে কথা না বললে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।
হিয়ান: পা ছাড় আর ওঠ, আমার কথার কোনো পরিবর্তন হবে না।
অথৈই: না  বিশ্বাস কর তুই যেভাবে রাখবি সেভাবে থাকবো আমি । আমাকে ছেড়ে দিস না এভাবে।
হিয়ান: বলছি বাড়ি ফিরে যা।
অথৈই: এটায় তোর শেষ কথা তাহলেতাহলে ভালো কেন বেসেছিলি যখন নিজের করে রাখতে পারবি না।
হিয়ান: ভুল হয়েছে, তাই শুধরে নিলাম এখন যা বাড়ি যা আর বিয়ে করে নে।
অথৈই : ঠিক আছে  তুই আমাকে অন্যের হতে দিলে আমি কেন হতে পারনো না। সব ছেড়ে তোর কাছে চলে আসছিলাম রেখে দিতে পারতি কিন্তু, ছেড়ে দিলি চিন্তা করিস না আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি আর বিয়েটাও করে নিবো।দয়া করে কখনো আর কোনো দিন আমার সামনে আসিস না কারণ আমি চাই না বিয়ের পর তোর চেহারা আমি কোনো দিন দেখতে চাই না ।
ভালো থাকিস অবশ্য ভালোই থাকবি তার জন্য তো আজ আমাকে ফিরিয়ে দিলি  আসি 
হিয়ান: ঠিক আছে আর কোনো দিন তোকে দেখতে হবে না আমার চেহারা  তুই ও ভালো থাকিস , 
অথৈই : একবার শেষ বারের মতো আমাকে জরিয়ে ধরবি ।
হিয়ান: হুম  বিশ্বাস কর তোকে জরিয়ে ধরে বলছি, অথৈই মনে হচ্ছে, জোরে চিৎকার করে বলি থেকে যা তুই আমার কাছে, পাগলের মতো ভালোবাসি তোকে। কিন্তু, রাখবো কোথায় তোকে হোস্টেলে তো ৪মাসের ভারা বাকি। আজ ভাড়া দিতে পারনী বলে আমি হোস্টেল থেকে বের করে দিছে। তুই না হয় নাই না জানলি এসব ঘৃণা না কর আমাকে না জেনে এসব আর নাই বা পেলাম তোকে নিজের করে অন্যের কাছে সুখে তো থাকতে পারবি, সে তোকে ভালোতো রাখতে পারবে । তোর ভালোর জন্য না হয় অপরাধী হলাম
★★★★—–★★★★
১বছর পর
অথৈই : ডাক্তার এখন কী অবস্থা ওর।
ডাক্তার : ভয় এর কোনো কারণ নেই, এখন ওনী ঠিক আছে সঠিক সময় রক্ত না দিলে ওনাকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যেতে।
অথৈই : ডাক্তার, কে রক্ত দিলো আর কোথায়ই বা সে।
ডাক্তার : কেন৷ আপনার পরিচিত নাকি বললো।
অথৈই : কই আমি তো জানিনা। আচ্ছা কোথায় আছে এখন ওনী।
ডাক্তার : ১০৩নং কেবিনে আছে ।
অথৈই : আচ্ছা ——– বলছি এই কেবিনে তো আপনার ডিউটি পরছে এখানে যে ছিল তিনি কোথায়?
নাস: ওনী তো অনেক সময় আগেই বেরিয়ে গেল।
অথৈই : কোথায় গেছে জানেন?
নাস: না ম্যাডাম। তবে আমাকে বললো অথৈই নামে কেউ এলে এই চিঠি টা দিতে আচ্ছা ম্যাডাম, আপনি চেনেন অথৈই কে?
অথৈই : আমি অথৈই।
নাস: তাহলে চিঠি তা নিন।
অথৈই : হুম
আমি জানতাম তুইআমার খোঁজ করতে আসবি। শোন আমি যতদিন বেঁচে আছি তোর কিছু হতে দিবো না।এখন আমি তোর থেকে অনেক দূরে তবুও ছায়ার মতো পাশে থাকবো তোর জীবনের প্রত্যেকটি বিপদে, তোকে কে বলে কাছে না থাকলে ভালোবাসা যায় না। দূরে থাকেও মৃত্যুর আগ অবধি তোকে ভালোবাসবো আর জীবন দিয়ে হলেও তোকে সব বিপদ থেকে বাঁচাবো।
কেননা তুই আমার কাছে খুব দামি আর প্রিয়। শোন তোর ভালোর জন্য তোর বরকে রক্ত কেন কিডনি, লিভার, হাট, সব দিতে পারি হাসি মুখে ।
ইতি
তোর সেই পাগল
হিয়ান
হিয়ান  সত্যি তুই আমার পাগল ই হিয়ান

(Aradhya)