পল্লবী তুমি আমার সাথে যাচ্ছো তো 

পল্লবী :হ্যাঁ মামা কেন যাবো না বলো তুমি আমাদের জন্য যা যা করেছো এতোদিন আর তোমার এই সামন্য কথা আমি রাখবো না। তবে তুহিন যেতে পারবো না মামা কারণ ওর মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে। 

রমেন মামা: ঠিক আছে তুমি আসো তাহলেই হবে। 

 পল্লবী : বলছি মামা তুমি আজ আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে সে কী তোমার কাছের আত্মীয়। 

রমেন মামা: কাছের বললেও ভুল হবে তবে আমার থেকে তোমার জীবনে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। 

পল্লবী : কেন মামা ঠিক বুঝতে পারলাম না। ও আচ্ছা তাহলে যখন তুহিন এর আমেরিকায় যাওয়ার জন্য টাকা লেগেছিলো তখন কী তাহলে সেই টাকা দিয়েছিলো আর তুমি সেটা দিয়ে আমাদের হেল্প করেছিলে। 

রমেন মামা: না না আমার ব্যাংক থেকেই আমি টাকা দিয়েছি আর তুমি আগে এসো তারপর জানতে পারবে। 

(৩ ঘন্টা পর রমেন মামার বাড়ি গেলাম) 

পল্লবী : মামা চল তাহলে যায়। 

রমেন মামা : হুম চলো, 

আচ্ছা পল্লবী তুহিন এর সাথে তো তোমার পারিবারিক ভাবে দেখে বিয়ে হয়েছে বিয়ের আগে কী তুমি কাউকে ভালোবাসতে। 

পল্লবী : না না মামা কী বলো আমি ওরকম মেয়েই না। 

রমেন মামা : আচ্ছা তবে কী জানো পল্লবী ভালোবাসা বড্ড পবিত্র জিনিস আর আর গভীর ভালোবাসা প্রচুর বেদনাদায়ক ভালোবাসার মানুষ যেমনই হোক না কেন তাকে একবার যদি ভালোবেসে ফেলো তাহলে সে হাজার খারাপ হোক তবুও সে কিন্তু ভালোবাসা হয়েই থেকে যায়। ভালোবাসার মানুষটিকে ঘৃণা করার থেকে নিজে আত্মাহত্যা করা শ্রেয়। 

পল্লবী : মামা হঠাৎ এসব কথা আমাকে বলছো। 

রমেন মামা: না না আসলে তুমি ভালোবাসা বোঝো না তো তাই বলছি। 

পল্লবী: কে বলছে মামা আমি ভালোবাসা বুঝি না আমি ও তো তুহিনকে ভালোবাসি। 

রমেন মামা:কিছু মনে করো না একটা কথা বলি তুহিন এর যখন বিজনেস খারাপ অবস্থায় চলে এসেছিলো তখন তুমি কিন্তু ওর পাশে ছিলে না বরং রাগারাগি করে তোমার মা বাবার কাছে চলে গেছিলে তারপর তুহিনের আমার সাথে দেখা হলো আমি টাকা ইনভেস্ট করলাম সবই তুৃমি জানো তাহলে কী এটা ভালোবাসা বলে তুমি বলো। তুহিন এর খারাপ সময় তুমি তাকে ছেড়ে চলে গেলে এটা কেমন ভালোবাসা। ভালোবাসলে শুধু ভালোবাসা মানুষের ভালো সময় সুখের সময়ই নয় খারাপ সময় কষ্টের সময়ও পাশে থাকতে হয়। 

পল্লবী: হুম মামা

রমেন: এখানে দাঁড়িয়ে যাও আমরা নামবো।

পল্লবী: মামা এটা তো হাসপাতাল এখানে কেন নামবো।


 লেখিকা ★(আরাধ্যা রায়) 

পরবর্তী পার্ট ২ঃ https://www.oporicita.com/2024/05/pagol-premik-2.html