রমেন মামা: চলো তারপর সব দেখতে পাবে। 

ওই যে কোমায় শুয়ে আছে ওই ছেলেটিকে দেখো তো  আর চিনতে পারছো দেখো তো? 

পল্লবী: নীল 🥺 মামা নীল  ও এখানে কেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। 

রমেন মামা: কেন তোমার জন্যেই তো আজ ও এখানে তোমার ১বছর বিয়ে হয়েছে আর ও সেই একবছর এখানে। আচ্ছা পল্লবী একটা কথা বলো তো তোমাকে ভালোবাসা কী ওর দোষ ছিল অপরাধ ছিল পাগলের মতো ভালোবাসতো তোমাকে আর তুমি কিনা ওকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে। 

পল্লবী : মামা 🥹🥹 নীল কী কথা বলতে পারে  আমি ওর সাথে অন্যায় করেছি আমি ক্ষমা চাইতে চাই ওর কাছে। কথা বলতে চাই। 

রমেন মামা : একটা কথা জানো থাকতে মূল্য দিতে হয় না হলে পরে আপসোস করে কোনো লাভ নেই। ওঠে বসতে পারে না নিজে হাত দিয়ে খেতে পারে না নলএর সাহায্যে ওকে খাওয়াতে হয় আর তুমি বলছো কথা বলার কথা। 

যেদিন তুমি ও বেকার বলে ওকে ছেড়ে তুহিনকে বিয়ে করছিলে ঠিক সেদিন ওর এক্সিডেন্ট হয় আর ভাগ্যের কী পরিহাস তারপর তুমি চলে গেলে শশুরবাড়ি আর ও কোমায় তুমি আর খোঁজ নেওয়ার ও চেষ্টা করলে না যে তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে তার কী হলো সে আদ্য কেমন আছে। 

পল্লবী: মামা আমি সত্যি ভুল করেছি কিন্তু আমি এখন কী করবো। 

রমেন মামা: কী আর করবে বলো নীল তোমাকে ভালোবাসতো বাসে আর সারাজীবন ই বাসবে। তুমি ওর কাছে ভালোবাসা হয়েই আছো তোমাকে ঘৃণা ও কোনো দিন করতে পারবে না। 

পল্লবী: মামা তুমি নীলকে কীভাবে চিনো।

রমেন মামা: ওর এক্সিডেন্ট হলে আমি ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি আর ওর বাড়ির লোকেকে খবর দেওয়া জন্য ওর সাথে থাকা ব্যাগটা খুলে একটা ডাইরি পেয়েছিলাম যেটা থেকে আমি ওর জীবনের সব গল্প জানি আর তোমাকে কীভাবে চিনলাম ওর মানিব্যাগে তোমার ছবি ছিল তাই। 

আমার আপন বলতে তো তেমন কেউ নেই তাই ওর ডাইরি পড়ে  কেন জানি না আমার অনেক মায়া লেগেছিলো তাই আমি ওর সম্পূর্ণ চিকিৎসার খরচ নিলাম ওর মা বাবার সাথে ও আমার কথা হলো আর তোমাকেও খুঁজে বের করলাম। 

 পল্লবী: রমেন মামা:সত্যি বলতে মামা আজ সত্যি নিজেকে খুব খারাপ বলে মনে হচ্ছে আমি সত্যি অনেক বড় অপরাধী। 

রমেন মামা: শোন এই ডাইরি টা আমার কাছেই ছিলো এতোদিন আমি নীলের মা বাবাকেও দিই নী যত্ন করে রেখেদিয়েছিলাম নীল এর ইচ্ছে ছিলো এই

ডাইরির শেষ পাতাটা তুমি পড়ো তাই আজ তোমায় ডাইরিটা দিলাম এটা পড়ো।পল্লবী কাউকে কষ্ট দিয়ে কখনো ভালো থাকা যায় না আর ভালোবাসা অপরাধ নয়।

পল্লবী: ডাইরিটা নিয়ে বেরিয়ে গেলো।

রাত ১১:৩৫মিনিট 

 সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে  তুহিন ও। বেলকোনীতে হালকা আলোই দাঁড়িয়ে ডাইরির শেষ পাতাটা খুললো 


পল্লবী, 

আমাকে পাগল প্রেমিক বলতে পারো কিন্তু বিশ্বাস কর তোমাকে ছেড়ে আমি বাঁচাতে পারবো না কখনো ছেড়ে চলে যেও না আমি শেষ হয়ে যাব। আবেগ থেকে নয় হৃদয় থেকে বলছি আমি তোমার সাথে বাঁচতে চাই পল্লবী শুধু তোমার সাথে । 

পল্লবী 😥


লেখিকা আরাধ্যা রায়