জেরি: কুত্তা, কখন গেছিস আইসক্রিম আনতে আমি ছেঁরা চটি পরে দাঁড়িয়ে আছি। লোকে শুধু তাকাছে
সূর্য : রেগে যাচ্ছিস কেন জেলি তুই আমাকে এমন এমন আদেশ করিস যে সেটা করতে গিয়ে আমার অবস্থা শেষ হয়ে যায়। আবার তোর রাগও ভাঙাতে হয়।
জেরি: তুই আবার আমাকে জেলি বললি তোকে তো আমি ।
সূর্য :থাম দাঁড়া একটা কথা বল তোর মা বাবার কী দরকার ছিল এমন নাম রাখার। আর এই দুপুরে কোনো দোকান খোলা থাকে তুই কী করলি আমাকে আদেশ করলি আইসক্রিম নেয়াই আইসক্রিম খাবো। কবে যে বড় হবি তুই।
জেরি : হুম সেই তো আমি তো বাচ্চা কোনো সুন্দরী মেয়ে বলুক নিজে আইসক্রিম বানিয়ে নিয়ে আসবি তার জন্য চিনি না তোকে।
সূর্য : তাত পাগলি আমার চোখে তোর থেকে সুন্দরী মেয়ে আছে নাকি।
জেরি: ঠিক আছে হয়েছে। এবার একহাতে ছাতাটা ধর আর এক হাত দিয়ে আইসক্রিম টা খাইয়ে দে ।
সূর্য : আর আমি কোন হাত দিয়ে খাবো?
জেরি: ২টা আইসক্রিম তো এনেছিস আবার তুই খাবি ১টা খেয়ে আমার কী হবে আমি খাব না ।
সূর্য :শোন, তোর জন্য এই ঠাঠা পরা রোদের মধ্যে অনেক খুঁজে একটা দোকান খোলা পেয়ে কিনে এনেছি ঢং না করে খেয়ে নে। ২টা তুই খা ।
জেরি:আচ্ছা দে খাইয়ে দে ****** আহা। কী সুন্দর খেতে অল্প একটু খা সূর্য।
সূর্য : না রে তুই খেলে আমি খুশি। চল, জুতার দোকানে জুতা কিনতে হবে।
জেরি: আচ্ছা চল।
সূর্য : ফোন বাজছে পকেট থেকে বের কর
জেরি: কেন তুই বের কর তোর পকেট থেকে আমি কেন বের করবো।
সূর্য :আমার একহাতে আইসক্রিম আরাক হাতে ছাতা কোন হাত দিয়ে বের করবো তুই ই বল।
জেলি : ও তাই তো ঠিক আছে করছি আরএ রেখা দিদি তো।
সূর্য : কানে ধর “”””””” হ্যাঁ দি বল কী হয়েছে?
রেখা: কোথায় তুই ভাই জেরির সঙ্গে?
সূর্য : না মানে হুম কেন তোর কিছু লাগবে আনতে হবে?
রেখা:হ্যাঁ, কিছু খাবার নিয়ে আসিস আর মায়ের ঔষধ।
সূর্য : আচ্ছা। রাখি এখন তাহলে। বুঝলি জেরি এই হয়েছে আরাক সমস্যা দিদি এক এক বায়না করেই থাকে এখন খাবার না নিয়ে গেলেও সমস্যা। কিছু দিন পর মামা হবো তখন ভাগ্নে বা ভাগ্নি যে আসুক বলবে মামা তুমি খুব কিপটে মা কে খাবার কিনে দাও নী কেন?
জেরি : বলবেই তো। শোন ৫টা বাজে তুই বাড়ি যা আমি ও বাড়ি যায় না হলে পাপা আর বেরতে দেবে না আমাকে বাড়ি থেকে।
সূর্য :জুতা কিনবো না।
জেরি: না লাগবে না চাকরি পেলে কিনে দিস। তুই দিদির খাবার আর মার ঔষধ নিয়ে যাস।
সূর্য : আচ্ছা সাবধানে যাস। বাড়ি পৌঁছে একটা এসএমএস করিস।
জেরি : ঠিক আছে বাই
৭নাগাদ :::::::::::
সূর্য : এই নে দিদি তোর খাবার
রেখা: জেরিকে নিয়ে আসতে পারতি।
সূর্য : হুম আর মা বাবা কে তুই সামলাতি শোন চাকরি না পাওয়া অবধি জেরির কথা মা বাবার সামনে উচ্চারণ ই করা যাবে না।
জেরি:মা পাপা ফেরেনি?
মা : না কল করলাম বললো কাজ আছে আসতে লেট হবে।
১ ঘন্টা পর “”””””
বাবা :জেরি কোথায় মা নিচে এসো কথা আছে
জেরি: কী হয়েছে পাপা।
বাবা: জেরি একটা অনেক ভালো খবর আমাদের কোম্পানি বিদেশি একটা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করবে আমেরিকার প্রিসিঅন কোম্পানি আমাদের কোম্পানিকে চূজ করছে আজ ই মেইল আসছে ।
মা: সত্যি তো খুব ভালো খবর।
জেরি:পাপা আমিও অনেক হ্যাপি।
বাবা :শোন মা আমার প্যান তো হয়ে গেছে আমারা আমেরিকায় সেটেল হয়ে যাব এখানে থেকে আর কী লাভ আর কোম্পানি কে আরও বড় করবো মাঝে মাঝে হয়তো আমাকে আসতে হতে পারে ৩/৪বছর পর আর আসতে হবে না।
মা: না এটা হয় না নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে থাকবো।
বাবা: তুমি জানো আমেরিকা কত বড় আর সুন্দর দেশ।
জেরি:মা আমি ট্রায়াড ওপরে যাচ্ছি।
মা: আচ্ছা।
জেরি: সত্যি আমাকে আমেরিকায় চলে যেতে হবে কিন্তু আমি তো সূর্য কে ছেড়ে থাকতে পারবো না
হ্যালো হ্যালো ””””””””” সূর্য
সূর্য : হুম বল তুই এখন পৌঁছালি। তোকে এসএমএস দিতে বলেছিলাম দিসনী কেন?
জেরি: আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না রে সূর্য।
সূর্য : কী হয়েছে রে কাঁদছিস কেন আর এসব ই বা কেন বলছিস?
জেরি: বাবা বলছে আমাদের আমেরিকায় সেটেল হবে আমি মরে যাব তাও তোকে ছেড়ে আমেরিকা যাব না
সূর্য : চর মারবো এসব কী কথা আর কান্না থামা শুধু শুধু বলি তুই বাচ্চা থেকে গেলি।
তোকে আমি আমেরিকায় যেতে দিবো নাকি তোর আমার Limited না Unlimited love যা কখন শেষ হবে না বুঝলি।
জেরি: পারবি তো
সূর্য :হুম
জেরি: তাহলে কাল সকাল ১০টার মধ্যে তুই আমাদের বাড়ি আসবি।
সূর্য : কাল কিন্তু কেন কাল তো আমার ৯টায় চাকরির একটা ইন্টারভিউ আছে।
জেরি: কুত্তা তোর চাকরি আগে না আমি।
সূর্য :তোর জন্য তো চাকরি খুঁজছি যাতে তোর বাবাকে গিয়ে বলতে পারি
জেরি: তোকে আসতে বলছি আসবি কিনা বল।
সূর্য : ঠিক আছে আসবো তুই বলবি না এসে থাকবো এমন হয় কখনো।
সকাল ৯:৫৫ মিনিট “”””””
জেরি পাপা মা আজ আমার একটা বন্ধু আসবে।
বাবা: ভালো তো কখন আসবে আমি তো এখনি বেরবো অফিসে।
জেরি: ওই তো চলে আসছে সূর্য আয় পাপা ও সূর্য আমার ৪বছরের পরিচিত আমার বন্ধু আর তুমি জানো পাপা আমি অন্য মেয়েদের মতো না তাই তোমায় সরাসরি বলি সূর্য শুধু আমার বন্ধু না ওকে আমি পছন্দ করি কাল তুমি আমেরিকার যাওয়ার কথা বলছিলে আমি সূর্য কে ছেড়ে আমেরিকা যেতে পারবো না।
বাবা: তুমি কী করো সূর্য?
সূর্য : কিছু না চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছি।
বাবা: জেরি তোমার মনে হয় ও তোমার দায়িত্ব নিতে পারবে?
সূর্য : আংকেল একটা কথা বলি। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তবে জেরিকে আমি সুখে না রাখতে পারলে আর কেউ রাখতে পারবে না কারণ আমি ওকে বুঝি ওর আর আমার সম্পর্কটা বন্ধুতের। পৃথিবীতে সব সম্পর্কের মধ্যে যদি শেয়ার কেয়ার বন্ড থাকতো তাহলে কেউ আর মনে কষ্ট চেপে রাখতো না আর আমি জেরির যোগ্য হয়েই পর দায়িত্ব নিতে চাই।
বাবা: দেখ সব মা বাবাই চাই তার মেয়েকে যোগ্য ছেলের হাতে তুলে দিতে যে তার মেয়েকে ভালো রাখবে।
মা : তুই একটা চাকরি কর তাহলে আর কোনো আপত্তি থাকবে না আমাদের কারণ একটা ই মেয়ে আমাদের ও তোমাকে ভালো বাসে জীবন সঙ্গী হিসেবে তোমাকে বেছে নিছে।
২মাস পর “”””””‘************”””””””””********
সূর্য : হ্যালো জেরি একবার দেখা করবি।
জেরি: একদম না ২মাসে একবারও দেখা করিসনী এখন কেন দেখা করবো।
সূর্য :please একবার আয় তোর বাড়ির গেটের সামনে।
জেরি: ঠিক আছে আসছি।
বল কী হয়েছে
সূর্য : গত ২ মাস তোর সঙ্গে দেখা করিনী কথা ও কম বলেছি তার জন্য sorry এই ২মাস শুধু চাকরির ইন্টার ভিউ দিয়ে গেছি আজ e-mail আসছে আমার চাকরি হয়ে গেছে
জেরি:সত্যি
সূর্য : হুম এবার তোর দায়িত্ব নিতে পারবো।
জেরি : দায়িত্ব না হয় নিলি আমাকে আগলে রাখতে পারবি তো?
সূর্য : হ্যাঁ রে পাগলি তোর আমেরিকা যাওয়া আটকে দিলাম আর তোকে আগলে রাখতে পারবো না
জেরি :ঠিক আছে দেখা যাবে
“”” ( সত্যি ভালোবাসা বড় অদ্ভত জিনিস কাউকে মন থেকে ভালো না বাসলে উপলব্ধি করা যায় না) “”””
লেখিকা ***★(Aradhya) ★***
1 মন্তব্যসমূহ
খুব সুন্দর 🫶🫶
উত্তরমুছুন