পার্ট – ২
এভাবেই ১মাস কেটে গেলো আমি একটা কোম্পানিতে জব পেয়েছি আর পিহু কিছু টিউশন পড়ায় বাড়িতে।
পিহু পিহু
পিহু: কী হয়েছে বলো।
দীপ : এটা তোমার জন্য।
পিহু: এটা কী?
দীপ: একটা সুন্দর শাড়ি আছে এর মধ্যে আসলে বিয়ের পর তো কিছুই দিতে পারিনী সেভাবে তোমাকে।
পিহু : কে বলছে তুমি আমাকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দিয়েছো আর কী লাগবে আমার। তুমি জানো একটা মেয়ের কাছে টাকা গহনা,শাড়ি এসব এর থেকে বড় তার প্রিয় মানুষের কেয়ার, ভালোবাসা, আদর।
দীপ: তুমি আমাকে ভালোবাসতে দাও কখন শুনি
পিহু : চুপ কর তো তোমার তো সবসময় শুধু বদমায়িসী করা।
দীপ: বদমায়েশের কী আছে আমি কী তোমাকে হাগ করতে পারি না , কিস করতে পারি না।
পিহু : পারো কিন্তু সবসময় না আচ্ছা শোন, ফ্রেস হয়ে নাও খেতে দিই।
দীপ: খাবো কিন্তু খাইয়েদিতে হবে রাজি আছো।
পিহু : ঠিক আছে দিবো যাও তো আগে
১ বছর পর আজ অফিস থেকে বেরোনোর সময় বাবার সাথে দেখা কিন্তু কথা বললো না।
দীপ: পিহু, এটা তোমার
আজ বাবার সাথে দেখা হলো কিন্তু কথা বললো না৷
বাবার এখনও রাগ কমেনী
পিহু : বলছি তোমাকে না একটা কথা বললার আছে
দীপ: বাবা ব্যাপার কী আজ একবার আমার কাছে চলে আসছো অন্য দিন তো তোমাই ডাকলেও পাওয়া যায় না। নাকি গোলাপ ফুল পেলে খুশিতে আমাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে।
পিহু : থামবা, ১বছর হলো বিয়ে হয়েছে তাও তোমার ভালোবাসাই হয় না। বলছি শোন না?
দীপ: ১মিনিট ১বছর হয়েছে তো কী হয়েছে আমি আমার নাতি, পুতি হয়ে গেলেও তোমাকে এমনই ভালো। বাসবো যাতে তারা তোমাকে আমাকে দেখে হিংসা করে।
পিহু : তুমি জানো কী হয়েছে
দীপ: কী হয়েছে
পিহু : তুমি বাবা হতে যাচ্ছো
দীপ :কী সত্যি
পিহু : হুম
দীপ : একটা রিকোয়েস্ট করি?
তোমার কাপালে একটা চুমো খায় আমি বাবা হবো, তুমি মা হবে।
পিহু : আজ আমাদের মা বাবারা সবাই জানলে আরো কত খুশি হতো।
দীপ : কাল থেকে আর অফিস যাব না বাড়ি থেকে শুধু তোমার আর আমাদের বেবির খেয়াল রাখবো।
পিহু : হুম সেই তো আর আমার না খেয়ে থাকবো। কী বুদ্ধি তোমার।
দীপ: আমি অফিস গেলে তোমার খেলায় কে রাখবো।
(এভাবে ১০ মাস কেটে গেছে)
১০ মাস পর আজ পিহু ডেলিভারি ডেড।
হাসপাতালে নিয়ে আসছি। আমি তো টেনশনে কী করবো বুঝতে পারছি না।
কিছুসময় পর
ডাক্তার : আপনার ছেলে হয়েছে, আপনারWife বেবি ২জনই সুস্থ এখন।
গিয়ে দেখা করুন।
দীপ : পিহু ঠিক আছো তো।
পিহু : হুম আমার আর তোমার ভালোবাসার চিহ্ন আমাদের বাবু আমাদের সোনা
দীপ :হুম
হঠাৎ মা বাবা, পিহুর মা বাবা
আমি তো অবাক
বাবা : দেখি আমার দাদুভাইকে
অন্তুু: কী ভাবছিস কীভাবে হলো এসব
শোন পিহুকে আজ হাসপাতালে নিয়ে আসছিস সকাল যখন তুই আমাকে বললি আমি তখন কাকু কাকিমাকে বলি আর তাদের নাতিন আসার কথা শুনে তারা কখনো বাড়িতে বসে থাকতে পারে
বাবা : হুম আর বৌমার মা বাবা কে আমি বলছি কারণ আমার সাথে বৌমার মা বাবার মাঝে মাঝে ই কথা হয়
দীপ : আমি তো সব শুনে ( অবাক)
হঠাৎ একটা কল এলো আমার ফোনে।
স্যার : দীপ তোমার সরকারি চাকরিটা হয়ে গেছে তুমি কাল থেকে জয়েন্ট কর।
দীপ : ওকে স্যার।
জীবনে যেন সব পাওয়া আমি একসাথে পেলাম
বাবা : দীপ আজই আমার বৌমা দাদুভাইকে বাড়ি নিয়ে যাবো, তুই সব কিছু রেডি কর।
আর হ্যাঁ রে বাবা তোর dicition এর জন্য আজ তুই মানুষ হতে পারছিস নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারছিস আজ আমি খুব খুশি।
দীপ: না বাবা, তোমার সেদিন এর অভিমান আর
তোমার আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার Dicition এর জন্য আজ আমি নিজে পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি।
( জীবনে কখনো কম্পোমাইস করবে না, আর ভালোবাসার কাছে তো একদম না ভালোবাসার মানুষের জন্য সঠিক diction টা নিবে কারণ ভালোবাসা একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবে না)
লেখিকা (আরাধ্যা রায়)
0 মন্তব্যসমূহ