এই গল্পটা আমাদের অনেক কিছু শেখাবে যেমনটা সব সময় অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না ভবিষ্যতেও মানুষকে এমন কিছু উপহার দেয় যেখানে সে তার পুরো অতীত টাই ভুলে যেতে পারে তাই প্রত্যেকের সুযোগ পেলে সেটার সদ্ব্যব্যবহার করা প্রয়োজন।



মিনতী : তুমি তো জানো, সেই ঘটনার পর থেকেই সবুজ কেমন একটা হয়ে গেছে, এখন কাজ ছাড়া ওর আর কোন কিছুতেই মন নেই সেই নটায় অফিস করে বাড়ি ফিরে রাতে এসে খেয়ে ঘুমিয়ে সকালে উঠে আবার অফিসে চলে যায়। 

অখিল : কিন্তু সেটা বললে তো হবেনা আমি না মিনতি ও তো আমার ছেলে তাও আমার একমাত্র ছেলে আমারও তো ওকে নিয়ে শখ আহ্লাদ আছে। আমিও তো চাই আমার ছেলেটা ভালো থাক, আমার ছেলেটা সুখে থাক, হাসিখুশি থাক। আমি ওর বাবা হয়ে আমার এইটুকু যাকে অন্যায় বলো।

মিনতী: না না তুমি এসব কি বলছো অন্যায় হবে কেন কিন্তু তাই বলে ও কি বিয়ে করতে রাজি হবে। 

অখিল : রাজি করাবে তুমি তাছাড়া সাথীর বিয়ের পর বাড়িটা পুরো ফাঁকা বাড়িতে তুমি আমি আর সবুজ ছাড়া কেই বা আছে বলো। তাও তোমার ছেলেটা অফিসই কেটে যায় দিন। আমার কথা নয় বাদ দিলাম তোমার এত ইচ্ছা করে বলো কেউ একজন তোমার সাথে গল্প করবে তোমার ও তো শখ করে বলো তোমার ছেলের বৌ আসবে একটা সুন্দর সংসার করবে ওরা। 

মিনতী : কিন্তু আমার তো সবুজের সঙ্গে কথা বলতেই ভয় করে এই ব্যাপারে বলছি শোনো না সাথী আসবে আর দুদিন পর সবুজ তো সাথীকে খুব ভালোবাসে সাথী কে দিয়েই বরং বলাবো। 

অখিল :যে তোমার যা ঠিক মনে হয় করো। রমেশবাবু দিন একটা সম্বন্ধের কথা বলছি মেয়েটি নাকি খুব সংস্কারী শিক্ষিত আছে আবার অনেক সুন্দরও নাকি দেখতে। আমি আর কিছু বলিনি ভাবলাম তোমার সঙ্গে আলোচনা করি তারপর বলবো। 

যাও তুমি বরং আমার জন্য এক কাপ চা করে নিয়ে আসো তো।

মিনতি : হ্যাঁ যাচ্ছি,  

সবুজ : মা আমার জন্য এক কাপ চা করো খুব মাথাটা ধরেছে। 

মিনতি : বাবা তুই এত সকাল আজ চলে এলি আজ এতো সকালে আজ অফিস ছুটি হয়ে গেল।  

সবুজ : হ্যাঁ, ওর অফিসের স্যারের একটা মিটিং আছে উনি সেখানেই গেল আর আমাদের তেমন কাজ ছিল না তাই। 

অখিল : ঠিক আছে তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে মাথা ধরেছে তোর মা চা পাঠিয়ে দিবে ঘরে করে দিয়ে আসবে। 

সবুজ : ঠিক আছে। মা সাথী ফোন করেছিল অনিক আর সাথী আজই আসছে অনিকের অফিসের ছুটি দিয়েছে ২দিন তাই আজই সন্ধ্যায় আসছে। 

মিনতি: ঠিক আছে । তুই যা এখন 

(লেখিকা) আরাধ্যা রায় 

Part - 2  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে