সাথী : মা মা কোথায় গেলে তোমরা? 

মিনতি : সাথী মা তোরা এসে গেছিস। কেমন আছো বাবা? তোমার মা বাবা ভালো আছে তো? 

অনিক : হ্যাঁ মা সবাই ভালো আছে। বলছি মা বাবা কোথায়? 

মিনতি : তোমার বাবা বোধহয় ছাদে গাছে জল দিচ্ছে। তুমি বসো আমি দেখছি। 

সাথী : মা দাদাভাই বাড়িতে না,? 

মিনতি : হ্যাঁ ও তো তো ঘরেই আছে। 

সাথী : অনিক তুমি বসো আমি দাদা ভাইকে ডেকে নিয়ে আসি। 
দাদাভাই দাদাভাই 
 
সবুজ : তুই চলে এসেছিস 🙂

সাথী : হ্যাঁ, আমি এসেছি তুই তো ঘরে বসে আছিস কিভাবে বুঝবে আমি এসেছি। আর এটা কি দাদা ভাই তুই আবার সিগারেট খাচ্ছিস। তুই একটা অফিসে জব করিস ছি ছি দাদা ভাই। 

সবুজ : ঠিক আছে আর ছি ছি করতে হবে না আমি ফেলে দিয়েছি। 

সাথী : সে না হয় এখন তো ফেলে দিয়েছিস। কিন্তু আবারও তো খাবি। চলো অনিক বাইরে অপেক্ষা করছে। 

সবুজ : কেমন আছো অনিক? 
 
অনিক : ভালো আছি দাদা তুমি ভালো আছো?  

সবুজ : চলছে 

মিনতি : বলছি বাবা তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও আমি তোমাদের খেতে দি? সবুজ তোকে দিব খেতে। 

সবুজ : না মা আমি এখন খাব না আমার কিছু অফিসের কাজ আছে, তাছাড়া আমার খিদেও নেই। 

অখিল : থাক থাক বেঁচে থাকো, সুখে থাকো? তোমার মা বাবা ভালো আছে তো? 

অনিক : হ্যাঁ বাবা  

অখিল : তুমি অনিককে খেতে দাও। আমি একটু গৌরবদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি দেখি কি জন্য দেখা করতে বলেছে বাবা। 

বিকাল ৫:৩০ মিনিট ( অনিক ঘরে ঘুমাচ্ছে, দাদাভাই বেরিয়ে গেছে বেরিয়েছে কোথায় কি জানি মা আর আমি বসে গল্প করছি)  

মিনতি : বলছি সাথী তোকে তো একটা কাজ করতে হবে? 

সাথী : কি কাজ মা বলোনা। 

মিনতি : সবুজকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে হবে তোকে তোর বাবাকে একটা মেয়ের কথা বলেছে পিন্টু ঘটক কিন্তু যে বিয়ে করবে সেই যদি মত না দেয় তাহলে। 

সাথী : দাদাভাই বিয়ের জন্য রাজি করাতে হবে এটা তো অসম্ভব মা । তুমি বাবার সবই তো জানো দাদা ভাই এখনও প্রিয়া দিদিকে ভুলতে ই পারেনি। আর দাদাভাই তো বিয়ের কথা শুনলেই রেগে যায়। আমি কিভাবে রাজি করবো। 

মিনতি : সবই তো জানি, সব বুঝতেও পারি, কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে বল মা, আমাদের তো বয়স হচ্ছে সারা জীবন এক অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে কি হবে। বলছি শোন না মা সবুজ তো তোকে কত ভালোবাসে তুই বললে ঠিক রাজি হবে। একটু চেষ্টা করে দেখ। 

সাথী: ঠিক আছে মা তুমি চিন্তা করো না দাদাভাই বাড়ি ফিরলে আমি কথা বলব। আমিও তো চাই বলে আমার একটা মিষ্টি বৌদি মনি হোক, যে দাদাভাইের গোটা অতীত টাকেই ভুলিয়ে দেবে, দাদা ভাইয়ের খেয়াল রাখবে, দাদাভাইকে ভালবাসবে, তোমাদের ভালবাসবে।  
  
লেখিকা (আরাধ্যা রায়) 🥰

Part - 3  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে