সন্ধ্যার একটু পরেই দাদা ভাইয়ের বাড়ি ফিরলো।
ঘরে একা একা চুপচাপ বসে কি যেন ভাবছিলো। ঘরের ভিতরে ঢুকলাম কিন্তু কথাটা বলবো সাহস হচ্ছিল না। তারপর সাহস করে দাদা ভাইকে ডাক দিলাম। 
দাদাভাই 

সবুজ : আয় কি হলো দাঁড়িয়ে আছিস কেন?  

সাথী : না কিছু না তোমাকে আমার কিছু কথা বলার আছে। 

সবুজ : হ্যাঁ তা বল , শোন সামনে রাখি এবার রাখিতে তোকে বড় একটা গিফট দিবো।

সাথী : আমি গিফট টিপ কিচ্ছু চাইনা, আমি শুধু একটা বৌদি মনি চাই, আমি এখানে আসলে যে আমার সঙ্গে গল্প করবে। 

সবুজ : সাথী এসব কি কথা 😡 এসব আজেবাজে কথা বলবি না। 

সাথী : আজে বাজে কথা ভাই সত্যি, তুই আর কতদিন অতীত নিয়ে পড়ে থাকবি দাদাভাই, কেন এভাবে জীবনটাকে নষ্ট করছিস, মা বাবা কত কষ্ট পাচ্ছে তোর জন্য , বাবা তোর জন্য একটা মেয়ে 

সবুজ : ব্যাস সাথী, আমি আর এই বিষয়ে কোন কিছু শুনতে চাচ্ছি না তুই এখন আমার ঘর থেকে যা। কে এইসব কথা তোর মাথায় ঢুকায় বলতো। 

সাথী : 🥹🥹🥹🥹 হ্যাঁ আমি চলেই যাচ্ছি, আর কখনো এই বাড়িতে আসবো না। এখন তো আমি এই বাড়ির কেউ না। এইজন্য আমার কথার কোন মূল্য নেই 🥹🥹🥹🥹

সবুজ : সাথী শোন সাথী দাঁড়া ( ইস বোনটাকে একটু বেশি বকা দিয়ে ফেললাম এটা ঠিক হলো না) । 

মিনতি : কিরে সাথী কাজ হয়েছে? 

সাথী : ঘোড়ার ডিম হয়েছে,উল্টো দাদাভাই আমাকে বকা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। 

অনিক : শোনো সত্যি এই সবে কোন কাজ হবে না। আমাদের অন্য প্লান করতে হবে। এমন প্লান করতে হবে দাদাভাই পুরো বিয়ে করতে রাজি হবে। আর কারো উপর রাগ করতে পারবে না। 

সাথী : প্ল্যানটা কি?  

অনিক : মা, সাথী, বাবার ঘরের চলো ওখানে গিয়েই প্লান টা বলছি। 


মিনতি : ঠিক আছে চলো। 

( বাবার ঘরে গিয়ে আমি মা বাবা অনিক সবাই মিলে দারুন একটা প্ল্যান করলাম , কিন্তু প্ল্যানটা কাজে দেবে কিনা এটাই ভাবার বিষয় কারন আমার দাদাভাই যা ঘাড় ত্যারা ) 

সকালে *******


সবুজ : মা ব্রেকফাস্ট দাও আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে। সাথীর সঙ্গে কথা বলা দরকার কাল সত্যি খুব বকা দিয়ে ফেলেছি। 

কিন্তু মাকে ডাকছি মা আসছে না কেন? দেখি তো ঘরে গিয়ে। 

সাথী : মা বাবা দাদাভাই এদিকে ঘরে আসছে তোমরা শুরু করো নাটক। 

অখিল : আর কি হবে মিনতি এসব করে না অনিক তুমি আর ডাক্তার কে ফোন করো না আমি আর বেশি দিন বাঁচবো না আর বাঁচতেও চাইনা আমি। 

সবুজ : কি হয়েছে বাবার বাবা কি হয়েছে আর তোমরা আমাকে কেন ডাকোনি। কি হলো সাথী? বল ডাকিস না কেন। বাবার শরীর খারাপ আমাকে একটা বার বলার প্রয়োজন মনে করলে না মা। 

অখিল : অনিক, তুমি ওকে বলে দাও ও যেন আমার ঘর থেকে চলে যায়। আমি মরি বা বাঁচি সেটাও ওর দেখার বিষয় না। ওর অফিস আছে ওকে অফিসে যেতে বলো। 

সবুজ৷ : কি হচ্ছে এসব আর তোমরা এরকম করছো কেন সবাই আমার অন্যায়টা কি সেটাইতো আমি বুঝতে পারছি না। 

সাথী : বুঝতে পারছিস না মানে দাদা ভাই আজ তোর জন্যই তো বাবার এত বড় শরীর খারাপ হল। শুধুমাত্র তোকে নিয়ে টেনশন করতে করতে কাল আমি তোকে বলতে চাইলাম একটা কথা তুই রেগে আমাকে ঘর থেকেই বের করে দিলি। 

অনিক : আসুন ডাক্তার আসুন। দেখুন তো কি হয়েছে বাবার 

ডাক্তার : ( কিছুক্ষণ চেকআপের পর) উনার অবস্থা তো খুব সিরিয়াস উনি অতিরিক্ত টেনশন করে জন্য এমন হয়েছে । এরকম টেনশন করতে থাকলে ওনী কিন্তু ব্রেন স্ট্রোক করতে পারে।

সাথী : কি বলছেন কি আপনি এসব বলবেন না প্লিজ আমার বাবার কিছুই হবে না। 

মিনতি : ডাক্তার এর কি কোন প্রতিকার নেই। 

ডাক্তার : শুনুন আমি কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি এগুলো খাওয়ান আর হ্যাঁ উনাকে একদম টেনশন দিবেন না উনাকে টেনশন ফ্রি রাখবেন কোন কারনে উনাকে উত্তেজিত করবেন। 

অনিক : ঠিক আছে ডাক্তার । 
চলুন আমি আপনাকে কে এগিয়ে দিয়ে আসি। 
 
সবুজ : মনে মনে ( সত্যি আমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে বাবার আজকে কতটা শরীর খারাপ হলো) মা-বাবার খেয়াল রেখো আমি আসছি। সাথী কোন সমস্যা হলে, আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করবি। 

সাথী : আচ্ছা দাদা ভাই ঠিক আছে।  

একটু পর মা বাবা অনিক কি মনে হচ্ছে তোমাদের প্ল্যান টা কাজে দেবে।

মিনতি : আমার তো মনে হচ্ছে দেবে আমি তো চিনি আমার ছেলেকে যতই বাইরে থেকে এমন হোক না কেন খুব ভালোবাসে ওর বাবাকে । 
 
 লেখিকা ( আরাধ্যা রায়) 


Part - 4  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে