পার্ট -১

ইশান: দেখ দাদা আমাকে কত সুন্দর একটা ঘড়ি কিনে দিছে।
মায়া: হুম তোর তো কোনো কাজ নেই, শুধু অন্যের টাকায় খাওয়া, আর ঘুরে বেড়ানো।
আর দামি দামি জিনিস কিনে ভাব দেখানো।
ইশান: ও হ্যালো অন্য কাকে বলছিস আমার দাদা আমার কাছে ভগবানের মতো ওর জন্য আমি সব করতে পারি। বাবা মারা যাওয়া পর কতো কষ্টে নিজে কাজ করে আমাদের সংসার চালিয়েছে নিজে লেখাপড়া করছে আবার আমাকে লেখাপড়া করায়ছে জানিস তুই।
আর দাদা তো এখন ও নিজের কথা না ভেবে আমার সব আবদার মেটায়।
মায়া: আচ্ছা, তোকে পড়িয়ে কী লাভ হয়েছে কিছুই তো করতে পারিসী। কী যেন বলেছিলি তোর দাদা তোর থেকে ৩বছরের বড় তাই না।
ইশান: হুম কেন তা কী হয়েছে?
মায়া: না অনেক বেশিও বড় না তোর দাদা তোর থেকে তাও সে চাকরি করছে আর তুই প্রেম করে বেড়াচ্ছিস।
ইশান: শোন, আমি চাকরি করি না ঠিক ই কিন্তু সময় হোক ঠিক করবো আর আমি প্রেম করছি না আমি ভালোবাসছি, বুঝতে পারছিস।
মায়া: সত্যি তোর সঙ্গে কথা বলে পারা যায় না। আচ্ছা ২ বছর তোর সঙ্গে আমার রিলেশন, তুই আমাকে একদিন ও তোর বাড়িতে নিয়ে গেলি না আর তোর ফ্যামিলির কারুর ছবি অবধি দেখাস না কেন বল তো। আমি তো তোকে আমার পরিবার সবার ছবি দেখিয়েছি।
ইশান: আমার ফ্যামিলি আর কী মা আর দাদা। শোন তুই আমার বউ হয়ে ওই বাড়িতে গেলে কিন্তু আমার মা, দাদা কাউকে কষ্ট দিবি না।
মায়া: তোর বউ হতে পারবো তো, তোর যা গতি কখন না অন্য কারুর বউ হয়ে যায় আৃমি।
ইশান: লাথি খাবি শোন তুই আমার মানে আমার ।
ইয়াস: ভাই কোথায় আছিস?
ইয়ান: দাদা একটু বাইরে কেন কী হয়েছে?
ইয়াস: না বাড়ি গিয়ে একটু কল করিস।
ইশান: আচ্ছা।
মায়া: শোন তোকে আমি এতো ভালবাসি কেন জানিস?
ইশান: না, কিন্তু কেন?
মায়া: কারণ তুই যেমনই হোস না কেন তোর মনটা খাঁটি।
ইশান: আচ্ছা। আর আমি তোকে ভালোবাসি কারণ তোর নামের সাথে না তোর একটা মিল আছে, তোর মধ্যে না একটা অন্য রকম মায়া আছে ।
মায়া: হয়েছে থাম। শোন কাল আমি দেখা করতে আসতে পারবো না কারণ কাল আমাদের বাড়িতে রিলেটিভ আসবে।
ইশান: কে শুনি সে কী আমার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ?
মায়া: আরএ না আসলে আমার মাসি আর মাসির কোন বান্ধবী আসবে নাকি বেড়াতে।
ইশান: ও আচ্ছা সত্যি তোর সাথে কাল দেখা হবে না আমার।
মায়া: তাতে কী হয়েছে ভিডিও কল দিস তাহলে এখন আসি।
ইশান : আচ্ছা সাবধানে যাস।
ইয়ান : হ্যালো দাদা বল আমি বাড়িতে এসে গেছি?
ইয়াস: মায়ের কাছে যাবি, তারপর মায়ের কাছ থেকে চাবি নিবি নিয়ে আমার ঘরে গিয়ে আলমারি খুলবি দেখবি দ্বিতীয় ডয়ারে ২০ হাজার টাকা আছে তারপর ওখান থেকে ৫ হাজার টাকা নিবি আর টুরে যাওয়ার জন্য ক্লাবে জমা দিয়ে আসবি।
কারণ আজই তো মনে হয় লাস্ট ডেট।
ইয়ান: দাদা তুই কী করে জানলি
ইয়াস: দাদা হয় আমি তোর তোর সব ইচ্ছে পূরণ করা আমার দায়িত্ব আর কতব্য, শোন তোর সব ইচ্ছে খুশি আমি পূরণ করবো তুই তো বলতিনা, অনি ফোন করে বললো যা এখন টাকা জমা করে আয় আমি বাড়ি এসে কথা বলবো।
(রাতে খাওয়া টেবিলে ৯/৯:৩০ হবে হয়তো)
মা: শুধু শুধু ওর পিছনে খরচ করিস কেন তুই
ইয়াস: মা এখন ই তো ওর ঘুরার সময়।
ইশান: মা দেখো দাদা এখন নিজের কথা না ভেবে আমার জন্য সব করছে একদিন আমিও দাদার জন্য নিজের খারাপ হলেও দাদার ভালো করবো।
মা: ঠিক আছে হয়েছে থামো কাল কখন বেরবে।
ইয়ান: দুপুরে কেন?
মা: না আমি আর তোমার দাদাও তো কাল একটা জায়গায় যাবো তুমি ও যেতে পারতে কিন্তু কীভাবে যাবে তুমি ও টুরে যাবে।
ইশান: মা কোথায় যাবে তোমরা।
মা: মেয়ে দেখতে, আমারা সকালে বেরবো।
ইশান: আমার তো ৭দিনের টুর। আমি বাড়ি আসলে গেলে হতো না
মা: না তুই যা পছন্দ হলে আশীর্বাদ করতে তখন তুই তো যাবি।
ইয়াস: মা, তুমি এখন এসব বাদ দাও।
সকালে
ইয়াস: শোন আমার আসছি এখন তুই ভালোভাবে যাবি সাবধানে থাকবি, বন্ধুদের সাথে মজা করবি ঠিক আছে কিন্তু আজে বাজে জিনিস খাবি না।
ইশান: ঠিক আছে দাদা।

                                                            লেখিকা ( আরাধ্যা)

Part - 2  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে