বাবা: কেমন আছিস বাবা?
আবীর : ভালো আছি কিন্তু তুমি একা কেন এসেছো আমাকে নিতে মাকে কেন আনোনী?
বাবা: তোর মা বললো তুমি ই যাও আমি ওর সব পছন্দের খাবার রান্না করবো তাড়াতাড়ি নিয়ে আসবে।
আবীর : ঠিক আছে চলো তাহলে।
বাবা: তুমি যাও আমি একটা কাজ সেরে আসছি। চল, তোমাকে গাড়িতে তুলে দিই।
আবীর :আচ্ছা চল
৩০মিনিট লাগলো বাড়ি পৌঁছাতে। বাড়ির গেটের সামনে এসে দাঁড়াতে দেখি আমার প্রিয় লজ্জাবতী৷ গাছটা এতো বড় হয়ে গেছে দেখেই আবাক। অবশ্য মাঝে মাঝে ভিডিও কলে দেখলাম গাছটা কিন্তু বুঝিনী এতো বড় হয়ে গেছে। যায় হোক মনটা আরও খুশি হয়ে গেল
মা মা কোথায় তুমি?
মা: বাবু,
আবীর: কান্না করছো কেন তুমি আমি তো চলেই আসছি তাই না।
মা: তুই আমার একমাত্র সন্তান তাও আমার থেকে এতোদিন দূরে ছিলি। এখন তোকে সামনে দেখে জরিয়ে ধরতে পেরে খুশিতেই আমার চোখে জল আসছে বাবু।
আবীর : ঠিক আছে, আর কান্না করতে হবে না। তুমি নাকি আমার পছন্দের সব খাবার রান্না করছো চল, খেতে দিবে কতদিন তোমার হাতের রান্না খায়নে বল।
মা: হুম চল, তোর বাবার আসতে কী দেরি হবে বাবু?
আবীর : একটু দেরি হবে বললো।
মা: আচ্ছা তুই হাত মুখ ধুয়ে নে আমি খাবার বাড়ছি।
আবীর : হুম , আচ্ছা মা তুমি আমার গাছটার অনেক যত্ন করে রেখেছো বলো।
মা: বা রাখবো না, আমার বাবুর প্রিয় গাছটা যত্ন করবো না।
আবীর: হুম। খাওয়া শেষ করে রেস্ট নেওয়ার জন্য আমার ঘরে গেলাম কিন্তু বার বার লজ্জাবতী গাছটার দিকে চোখ যাচ্ছে ঘরের জানলার থেকে গাছটা দেখা যায়।যতবারই গাছটার দিকে তাকাছি ততবারই তার কথা বেশি মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে এতো বছর অপেক্ষা করেছি আর কতবা অপেক্ষা করবো। সেও হয় তো আমার অপেক্ষায় বসে আছে।
মা আমি একটু বেরচ্ছি।
মা; কোথায় যাচ্ছিস বাবু?
আবীর : ওই হেড স্যারএর বাড়িতে। যায় স্যারএর সাথে একটু দেখা করে আসি।
মা: আচ্ছা, তাড়াতাড়ি ফিরবি।বেশি রাত করবি না।
আবীর:আচ্ছা
স্যার বাড়িতে আছে
স্যার এর বউ: কে তুমি?
আবীর : আমি আবীর স্যারএর ছাত্র।
স্যারএর বউ: আচ্ছা। বসো আমি ডেকে দিচ্ছি।
আবীর : বসলাম তো কিন্তু মন তো আর মানছে না আরও ব্যাকুল হয়ে ওঠছে একটা বার তাকে দেখার জন্য। আমার চোখ তো শুধু তাকেই খুঁজছে।
হঠাৎ
স্যার: কেমন আছো আবীর
আবীর : প্রনাম স্যার আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন। এভাবে অনেক কথা বলছিলাম কবে ফিরলাম কেমন ছিলাম ওখানো*********-**-*———–।
স্যার: আবীর তুমি যে মানুষের মতো মানুষ হয়েছো সত্যি ভেবে আমি খুব গর্বিত। অবশ্য লাবণ্যও তো এবছর খুব ভালো রেজাল্ট করেছে।
লাবণ্য এদিকে আসো তো*********
লাবণ্য : হ্যাঁ, বাবা বলো ——-
স্যার : আবীর কে চিনতে পেরেছো? ও ইন্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করে আজই বাড়ি ফিরেছে। আবীর বসো আমার একটা কল আসছে আমি একটু কথা বলে আসি। আর লাবণ্য তোমার মা কে বলো চা করতে
আবীর: লাবন্য কেমন আছো?লাবণ্য : ভালো তুমি কেমন আছো?
আবীর: ভালো এখন আর ভালো লাগছে তবে তুমি এখন ও লজ্জাবতী গাছের মতোই আছো। লজ্জাবতী গাছ যেমন ছুঁলেই লজ্জায় মাথা নত হলে লাজুক হয়ে গুটিয়ে নেই তুমি ও তেমনি তোমার দিকে তাকালেই তুমি ও লজ্জায় লাল হয়ে যাও। তবে তুমি কিন্তু আগের থেকে দেখতে সুন্দর হয়ে ছো।
লাবণ্য : তাই একটা কথা বলো তো তুমি আমাকে দেখতেই এসেছো তাই না।
আবীর: না মানে হ্যাঁ, বাড়ি এসে দেখলাম তোমার দেওয়া লজ্জাবতী গাছটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আর দেখতেও তোমার মতোই সুন্দরী হয়েছে
লাবণ্য : আচ্ছা, তুমি আজ আসবে আমি জানতাম।
আবীর :কীভাবে ?
লাবণ্য : আমার মন বলছিলো। আচ্ছা ওখানে গিয়ে তোমার আমার কথা মনে পড়তো?
আবীর : এখন না অন্য একদিন বলবো।
লাবণ্য : যদি সময় না পাও।
আবীর : কেন? হঠাৎ এমন কথা।
লাবণ্য : না এমনি আচ্ছা পরশু আমার কলেজ আছে পরশু আমার সাথে দেখা করে বলো তাহলে আসবো তো পরশু।
আবীর : হুম কোথায় আসবে সেটা বলো।
লাবণ্য : তুমি বিদেশে যাওয়ার আগে যেখানে দেখা করেছিলে
আবীর: আচ্ছা
স্যার : আবীর কবে জয়েন্ট করছো চাকরিতে?
আবীর : দেখি সামনে মাসে করি কিনা। আচ্ছা স্যার এখন আসি।ভালো থাকবেন আর আমাদের বাড়িতে আসবেন একদিন।
স্যার: আচ্ছা আগে তুমি জয়েন্ট কর চাকরিতে তারপর সব হবে। আচ্ছা এসো।
লেখিকা ( আরাধ্যা)
Part - 2 পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে
1 মন্তব্যসমূহ
Khub sundor
উত্তরমুছুন