পার্ট-২


ইশান: হ্যালো মায়া কাল আমি টুরে যাচ্ছি দীঘা, আসলে নিজেও জানতাম না যাবো কিন্তু দাদা টাকা দিয়ে বললো যেতে আমি কী আর না বলতে পারলাম না।
মায়া: কী বলছিস আমাকে তো আগে বলতে পারতি 
আমি ও যাব তোর সঙ্গে।
ইশান : তুই কীভাবে যাবি তোকে যেতে দিবে নাকি আর শোন তোর আমার বিয়ের পর শুধু দীঘা না অনেক জায়গা ঘুরবো। চিন্তা করিস না আমি তোকে ভিডিও কল দিবো সাবধানে থাকিস তুই।
মায়া: ঠিক আছে তুই ও আর ব্যাগে মনে করে চার্জারটা নিস শোন সমুদ্রে সাবধানে নামবি।
ইশান: ঠিক আছে ম্যাম
মা দাদা বেরিয়ে যাবার পর আমিও সব রুমে তালা মেরে বেরিয়ে পড়লাম টুরের উদ্দেশ্যে।
হ্যালো মায়া,আমি এখন বেরচ্ছি।
মায়া : আচ্ছা তাহলে রাখ এখন পৌঁছে ফোন দিস।
১২টা সময় প্রায়
মাসি: কমলা 
মা: দিদি কেমন আছিস? আপনারা সবাই ভালো আছেন তো? দাঁড়িয়ে কেন বসুন।
মাসি : বোস কনিকা, বোসো ইয়ান।
ইয়ান: না না ঠিক আছে আন্টি।
মা: দিদি শোন একটু
মাসি: বল কী হয়েছে আর মায়া বাড়িতে আছে তো।
মা: হ্যাঁ, তুই গিয়ে ওকে একটু রেডি করে নিয়ে আয়।
মাসি : আচ্ছা 
মামনি মামনি
মায়া: মাসি কেমন আছো কখন আসলে। আমি আসলে চান করছিলাম তো তাই বুঝতে পারিনী।
মাসি: ঠিক আছে মামনি তুই সুন্দর একটা শাড়ি পড়ে রেডি হ তো তাড়াতাড়ি।
মায়া: কেন মাসি আমরা কোথায় যাব?
মাসি: কোথাও না আসলে আমার বান্ধবী আর ওর ছেলে তোকে দেখতে এসেছে 
মায়া: কী কিন্তু আমি তো কিছু ই জানি না মা আমাকে এসব বিষয় তো কিছুই বলে নী।
মাসি : শোন আমি বলতেই বারণ করেছি আর আমার ই তো বান্ধবীর ছেলে। কত সুন্দর আর কত শিক্ষিত, কী বলবো আমার তো কোনো মেয়ে নেই ২টা ছেলে ভগবান আমাদের ২বোনের ১টায় মেয়ে দিছে সেটা তুই আর আমি কী তোর খারাপ চাইতে পারি মামনি। যা এখন রেডি হ । আমি একটু দেখি তোর মা কী করছে।
মায়া: শুনেই তো আমার চোখে জল চলে এলো না না ইশানকে একটা ফোন করা দরকার এখন ই। কী ব্যাপার ফোন কেটে যাচ্ছে কেন মনে হয় ভালো নেট পাচ্ছে না।
কী করবো 
আমি তো মাসিকে না বলতে পারবো না যেমন ই হোক না কেন ওনাদের সামনে আমাকে বসতেই হবে।
দিদি পালিয়ে বিয়ে করার পর বাবার এক্সিডেন্টটে প্যারালাইসেস হয়ে গেছে মাসি আমাদের বিপদে পাশে থাকে মাসিকে তো অপমান করতে পারবো না।
৩০মিনিট পর
মাসি : মামনি তুই রেডি? বা বা কত সুন্দর লাগছে আমার মেয়েটাকে যেন রাজকন্যা। আমার বিশ্বাস মা তুই আর যায় হোক ছায়ার মতো হসনী তুই কখনো ওমন কাজ করবি না। কী রে মুখহাসি নেই কেন ভয় লাগছে।
মায়া: না মাসি আমি একদম ঠিক আছি।
মাসি : ভয় কীসের ওরা খুব ভালো চল।
মাসি : কনিকা এই হল আমার মেয়ে দেখ পছন্দ হয় নাকি?
ইয়াস: বাহা কী সুন্দর সত্যি এতো সুন্দর হতে পারে একটা মেয়ে আমি তো কখনো মেয়েদের দিকে তাইনী কিন্তু এর দিক থেকে কেন জানিনা চোখ সরাতেই ইচ্ছে করছে না।
মাসি : কী ইয়াস পছন্দ তো বাবা মেয়েকে 
কনিকা: কী বলিস এতো সুন্দর মেয়ে তোর পছন্দ হবে আর আমার ছেলে বলবে তোকে ওর পছন্দ কিনা তুই তো জানিস ই ও কেমন।
মাসি : সে আর বলতে সোনার টুকরো ছেলে তোর।
কনিকা: আচ্ছা তোমার নাম কী মা?
মায়া: আমার নাম মায়া
ইয়াস: দেখতে মনে হচ্ছে চেহারার সাথে নামের কত মিল ( মনে মনে)
কনিকা: আচ্ছা মায়ার বাবা কোথায়?
কমলা: আসলে ওর বাবার প্যারালাইসেস ওনী রুমেই আছে তাছাড়া দিদিই আমাদের অভিভাবক।
কনিকা: তুমি বরং ইয়াস এর সাথে একটু আলাদা ভাবে কথা বলো।
মাসি : হুম যা তোরা *************
মা : আপনার পছন্দ আমার মেয়েকে।
কনিকা : সে আর বলতে আমার পছন্দ আর আমি জানি আমার ছেলেও খুব পছন্দ হয়েছে মা তো ছেলকে দেখেই বুঝতে পারছি।
আপনারা কবে জাবেন সেটা বলেন।
মা : সবই বললাম আপনাকে আমার স্বামী অসুস্থ আমরা ২বোন ই আমার দিদিই অভিভাবক আমাদের এখন আর আপনি দিদির বান্ধবী। আমার মনে হয় না আমাদের আর যাওয়ার প্রয়োজন।
কনিকা : তারপর ও দেখবেন না কোন বাড়িতে মেয়েকে পাঠাবেন।
মা: দিদি মায়াকে নিজের মেয়ে ভাবে আর মা কখনো মেয়ের খারাপ চাইবে না।
মাসি : থাম তো তোরা শোন এসব বাদ দে একটা ভালোদিন দেখে আশীর্বাদের তারিখ ঠিক কর। আগে আমরা গিয়ে ইয়াসকে আশীর্বাদ করবো তারপর মায়াকে এসে তোরা করিস। আমি আজই মায়া মেসোকে ফোন দিবো বলবো তাড়াতাড়ি দেশে ফিরতে।
কনিকা: শোন ইশান বাড়ি ফিরুক তারপর আশীর্বাদএর দিন বলবো ফোনে না হলে দাদার বিয়ের আশীর্বাদ ওকে না বললে হয়তো বিয়েতেই থাকলো না।
মাসি: সে আর বলতে দাদা অন্ত প্রাণ তা কবে ফিরবে ইশান?
কনিকা: ১ সপ্তাহ পর।
ছাদে দাঁড়িয়ে আমি আর ইয়াস
ইয়াস: আপনি কী একা?
মায়া: না আমরা ২ বোন আমার দিদি আছে বিয়ে হয়ে গেছে।
ইয়াস : ও আচ্ছা । আপনি কী কোনো কারণে বিরক্তিবোধ করছেন আমার সাথে কথা বলতে?
মায়া : না না আসলে শরীর এটা খুব খারাপ লাগছে।
ইয়াস: ও আচ্ছা তাহলে নিচে চলুন আর আপনি গিয়ে রেস্ট করুর।
মায়া : আচ্ছা,
খাওয়া দাওয়া করে মাসি ওনারা চলে যাওয়া পর আমি রুমে বসে ভাবছি সত্যি কী হবে আমার সাথে ।
মা : মায়া ওনাদের তোকে খুব পছন্দ আর আমার ও তো ছেলেদের পছন্দ বড় চাকরি ও করে তোর বাবাকে ছবি দেখালাম তোর বাবার খুশি।
মায়া: তারমানে কী মা আমি বিয়ে করতে পারবো না আমি পড়া শেষ করে তারপর বিয়ে করবো।
মা: হ্যাঁ, একজন বলতে সে কখন চাকরি করছে শশুরবাড়ি গিয়ে, আমাদের সবাই মুখ চুনকালি মাখিয়ে চলে গিয়ে বাবাকে অসুস্থ বানিয়ে তুমিও আবার তাই বলো পড়াশোনা শেষে।
মায়া: মা দিদি করছে বলে যে আমিও করবো তা তো নয়
মা : চুপ কর কে দিদি আর ওর আমার মেয়েই না তুই ও দেখ এবার আমাকে শেষ করতে পারিস নাকি
মায়া : মা কী বলছো এসব।
মা : শোন তোর মাসি ঠিক করেছে এখানেই তোকে বিয়ে করতে হবে।
আর ওনারা আশীর্বাদ এর তারিখ ফোনে জানাবে 
মায়া : বিয়ে আমার ইশানের তাহলে কী আমি ইশানকে ছেড়ে কীভাবে থাকবো।

লেখিকা (আরাধ্যা)
Part - 3  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে