ইশান : দাদা সারা জীবন তো আমার জন্য কত কিছু করেছিস এবার আর একটা জিনিস করে দে দাদা।
ইয়াস: কী আর এমন ভাবে বলছিস কেন। 
ইশান : দাদা আমি বাইরে যেতে চাই ওখানে গিয়ে কাজ করতে চাই মা বলে না জীবন কর্মমুঠী হওয়ার জুরুরি। 
ইয়াস: কিন্তু ভাই হঠাৎ এসব কী সিদ্ধান্ত আর সামনে আমার বিয়ে এখন তুই বাইরে যেতে যাচ্ছিস।। 
ইশান : দাদা তোর বিয়ের আগে আমি আবার ফিরে আসবো আর গিয়ে ঘুরে দেখি আগে কেমন লাগে জায়গায় টা। 
ইয়াস: মা তুমি কী বলো? 
মা : শোন ওর ছেলেমানুষী ছেড়ে এখন একটু বড় হতে চাচ্ছে যখন ঠিক আছে আর তোর বিয়ের আগে তো আবার আসবেই বাড়ি তুই পারমিশন দে। 
ইয়াস: ঠিক আছে মা যখন বলছে তুই কালই পাসপোর্ট, এর জন্য আবেদন কর। 
ইশান : ঠিক আছে দাদা।
মা : সত্যি এবার ছেলে মনে হচ্ছে বড় হচ্ছে। 
ইয়াস: কিন্তু মা হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত বুঝতে পারলাম না। আজ তো ও মায়াদের বাড়ি গেলে এসে আশীর্বাদ, বিয়ের গল্প না করে বাইরে পাসপোর্ট, ভিসা এসব বলছে। 
মা : দেখ বৌমা কিছু বুঝাছে নাকি অনেক সময় ২জনএ গল্প করছিল।

রাত১০বাজে 
অন্ধকার ঘরে ৩/৪ প্যাকেট সিগারেট , ২বোতল মদ নিয়ে বসে আছি আর ভাবছি এগুলো খেলেও না আজকের সারপ্রাইজ টা ভুলতে পারবো না আমার ব্যাথা সারবে না ভাবতে ভাবতে খেয়েই নিলাম কারণ ভুলতে তো আমাকে হবেই আর এইসব এর সাথে ই তো বেঁচে থাকতে হবে। 


২০ দিন পর আমার পাসপোর্ট, ভিসা এলো। 
মায়াকে ফোন করলাম 
হ্যালো ******* 
মায়া : হুম বল কী হয়েছে? 
ইশান: কাল আমি আমেরিকা চলে যাচ্ছি সনধ্যা ৭টাই আমার ফ্লাইট, তাই ভাবলাম বলে যায় আর কোনো দিন দেখা হবে না তো তাই। 
মায়া: চলেই যাচ্ছিস তাহলে? 
ইশান: হুম কী করবো আর বল না আমার চোখের সামনে তুই বিয়ে করতে পারবি না আমি তোর বিয়ে দেখতে পারবো আর এই বাড়ির আসার পর তোরও কষ্ট হবে সমস্যা হবে আমার ও। 
মায়া : বা বা কী বুদ্ধিমান রে তুই 🥹🥹🥹🥹🥹 
ইশান: শোন আমার দাদা আমার মার খেয়াল রাখবি কিন্তু আর তুই ও সাবধানে থাকবি। 
মায়া: হুম তুই ও সাবধানে থাকিস। নিজের খেয়াল রাখিস। 

পরদিন সকালে আমি বেরবো ঠিক তখন খবর এলো 

মা : 🥲🥲🥲🥲 
ইশান : কী হয়েছে মা। 
মা : মায়া কাল রাতে সুইসাইড করছে। 
ইশান: কী বলছো মা 🥲🥲🥲🥲🥲🥲🥲 এটা হতে পারে না কিছু তেই না। মায়া মরতে পারে না। 
মা : কেন এমন করলো ও। 
ইয়াস: আমি বলছি মা 
মা : কী বল। 
ইয়াস: তোমার ছোটছেলের জন্য  
মা : মানে 
ইয়াস: মায়া ইশানে ভালো বাসতো আর ইশানও ওকে কিন্তু ওরা কেউ ই জানতো না ইশান, মায়া আশীর্বাদ এর দিন জানতে পারে মায়া সাথে আমর বিয়ে ঠিক হয়েছে আর ইশান আমার ভাই, তারপর আমার ভালো, আমার সুখের জন্য ও সব মেনে নেই এবং মায়াকে বাধ্য করে আমাকে বিয়ে করার জন্য আর ও বাইরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। মায়া জানতে পারে আজ ইশান বাইরে চলে যাচ্ছে আর ও কোনো দিন আসবে না তখন ও সুইসাইড করে । 
মা : কী বলছিস। 
ইশান:😭😭😭😭😭 দাদা তুই 
ইয়াস: ও আমাকে এই চিঠিটা লিখে গেছে। 
ইশান: দাদা আমি মায়াকে খুব ভালোবাসি। 
ইয়াস: হুম কতটা ভালোবাসিস জানি তার জন্য নিজের ভালোবাসাকে অন্যের হাতে তুলে দিছিলি আর তাকে সুইসাইড করতে বাধ্য করলি। 
ইশান :😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭

ইয়াস: মায়া এদিকে এসো। 
ইশান : মায়া 😨😨😨😨 তুই সুইসাইড করিসনী
মায়া : কেন করলে তুই খুশি হতে নাকি। 
ইশান : দাদা এসব কেমন জানলো। 
ইয়াস: মায়া বলেনী আমাকে আর মায়াকে তুই দিব্যি দিছিলি কীভাবে বলবে, মায়ার মেসো আমাকে সব বলে আশীর্বাদ এর দিন যখন তোরা ২জন কথা বলছিলি তখন ওনী সব শুনেছিলো তারপর একদিন আমাকে ডেকে সব বলে।
মা ও সব জানতো। 
ইশান: তার মানে মায়া ও জানতো। 
মায়া : হুম দাদা আমাকে সব বলেছে আর আমারা এতোদিন নাটক করছিলাম যে তুই কী কী করিস দেখবো সুইসাইড করাটাও প্যান এটা দাদার পান। 
😄😄😄😄😄😄😄😄
ইশান : তোরা সবাই বাজে এমন বোকা বানালি মা, শেষে তুমি ও। 
মা : তা কী করবো তুই এতো গাধা আমাকে মায়ার কথা না বলতে পারিস সে না হয় ঠিক আছে কিন্তু দাদাকে তো বলতে পারতি। 
ইয়াস: শোন তুই আমার ভাই, তোর জন্য আমি সব করতে পারি কিন্তু তার জন্য সেই ঋন শোধ করতে গিয়ে যে তোকে নিজের ভালোবাসার মানুষকে আমাকে দিতে হবে এমন টা নয়। আর ভালোবাসর মানুষ একান্ত ই যে ভালোবাসে তার হয়, না সেটা নিজের দাদা,ভাই বন্ধু কাউকে দেওয়া যায়।
যদি মায়ার মেসো না বলতো কী বিপদ হয়ে যাচ্ছিল বল তো তুই তো কখনো বলতি না, মায়াকেও বলতে দিতি না, ৩টা জীবন নষ্ট হতো। জীবন সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন তার সমাধান এর রাস্তাও ঠিক আছে। 
ইশান: 😄😄😄😄😄হুম তাহলে আজ তো আমর ৭টায় ফ্লাইট আমি বাইরে থেকে ঘুরে আসি। 
মায়া: একদম না তুই আমার সাথে ঘুরতে যাবি 😡😡😡 না হলে মেরে তক্কা বানাই দিবো। 
ইশান: ওরে বা বা 😨😨😨😨

                                    লেখিকা (আরাধ্যা)