(৭দিন পার হয়ে গেল হঠাৎ )

ইশান: দাদা অনেক মজা করেছি বিশ্বাস কর। সত্যি দাদা তুই আমার জীবনের একটা এমন মানুষ যে নিজের ভালো না ভেবে আমার কথায় ভেবে গেলি।
মা : ঠিক আছে গল্প পরে করিস আগে একটু বিশ্রাম করে নে তারপর গল্প করিস আর শোন বাবা তোর সঙ্গে আমার জুরুরি কথাও আছে।
ইশান : ঠিক আছে মা।
(২ ঘন্টা পর)
ইশান : মায়াকে এবার ফোন করি ৭ সপ্তাহ কথা বলতে পারিনী, খুব রেগে আছে মনে হয়। বাড়িতে এসে করবো চার্জ টাও ছিল না ।
মা : ইশান ভিতরে আসবো।
ইশান : মা এসো,
মা : শোন বাবা তুই ওখানে ছিলি আমি আর ইয়াস পাএী দেখতে গেছিলাম। আর আমাদের পছন্দ ও হয়েছে ওদের ও পছন্দ ইয়াস কে তুই আসলে আশীর্বাদ করার কথা বলেছিলাম। এবার তুই আসছিস এবার যেতে হবে আশীর্বাদ করতে। অবশ্য ওরা আগে আসবে আশীর্বাদ করতে।
ইশান:  কী বলছো মা দাদার বিয়ে আমি তো ভাবতে পারছি না। কবে আসবে ওনারা। আর বৌদি কেমন দেখতে।
মা : খুব সুন্দর দেখলেই মনে হয় মায়াবী চেহারা।
ইশান : আচ্ছা ( মনে মনে, ভালোই হবে মায়ার ও তো মায়াবী চেহারা তাহলে বৌদির সঙ্গে মায়াকে ভালোই মানাবে)
মা : এখন আসছি আমি।
ইশান:  দাদা কী রে কী ভাবছিস?
ইয়াস: ভাই তুই কখন এলি।
ইশান : তাই তো এখন তো আর খেয়াল ই করবি না আমাকে বৌদি আসছে।
ইয়াস: কী সব বলছিস।
ইশান: আচ্ছা দাদা বৌদিকে তোর কেমন লাগলো।
ইয়াস: কেমন লাগবে।
ইশান: বল না দাদা বৌদি দেখতে কেমন।
ইয়াস: অপূর্ব সত্যি বলতে আমি কোনো দিন সেভাবে কোনো মেয়ের দিকে তাকাইনী কিন্তু, এই ১ম কাউকে আমার এতো ভালো লাগলো সত্যি অসম্ভব সুন্দর ও।
ইশান : আচ্ছা বুঝতে পারছি তুই বৌদিকে ভালোবেসে ফেলেছিস ।
ইয়াস: এবার বেশি হয়ে যাচ্ছে , তবে ও এ বাড়ির বৌ হলে মা খুব খুশি হবে আর আমি ও ওকে সব সময় খুশি রাখবো।
ইশান : বুঝতে পারলাম বিয়ে টা তাড়াতাড়ি প্রয়োজন 
কিছু সময় পর
ইশান : মায়া তো এই সুখবর টা জানাতে হবে?
হ্যালো মায়া 
মায়া :  ইশান তুই
ইশান : হুম আজ বাড়ি আসছি বিশ্বাস কর ওখানে গিয়ে এতো নেট সমস্যা ছিল যে তোকে কল করতে পারিনী রাগ করিস না sorry sorry sorr।
মায়া: তোর সঙ্গে আমার কথা আছে অনেক কথা।
ইশান : হুম বল। জানিস দাদার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?
আমি কী যে খুশি হয়েছি।
মায়া : তুই আমার সাথে একটু কাল দেখা করতে পারবি
ইশান: হুম কেন পারবো না আর কতদিন তোকে দেখি না বল তো।
মায়া: ঠিক আছে কাল আসবি তো
ইশান : হুম
সকালে ( ১০ সময়)
মায়া : মা আমি একটু বেরচ্ছি?
মা : না তুই এখন কোথাও যেতে পারবি না।
মায়া: কিন্তু কেন মা
মা: কারণ আজ তোমার মাসি মেসো ইয়াসকে আশীর্বাদ করতে যাচ্ছে আর বিয়ের দিন ও ঠিক করবে আজ তো তুমি এখন বেরবে না বাড়ি থেকে।
মায়া: কী বলছো মা।
মা: হুম আর আমার দিব্যি রইলো তুই এখন কোথাও যাবি না কারণ বিয়ে কথা চলাকালীন ছেলে মেয়ে কে বাড়ি থেকে বেরতে হয় না।
মায়া:
ইশান : মায়া কে একটা এসএমএস করে জানিয়ে দিই আজ যেতে পারবো না।
মায়া আমি আজ যেতে পারছি না একটু বিজি আছি ফ্রি হয়ে কল দিবো রাগ করিস না কল দিয়ে বলবো।
মা : কী রে মিষ্টি এনেছিস ওনারা এখন ই এসে পড়বে।
ইশান: মা তুমি চিন্তা করছো কেন সব হয়ে গেলে আমার দাদার আশীর্বাদ বলে কথা ভুল হতেই পারে না।
আশীর্বাদ হয়ে গেলে বিয়ের তারিখ আমারা ঠিক করবো কাল পাএীকে আশীর্বাদ করতে গিয়ে।
মায়া: না আমি কিছুতেই ইশানকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না  হ্যালো
ইশান: হুম বল আজ সারা দিন বিজি ছিলাম
মায়া : এসএমএস পেয়েছি আমি। তুই কাল আমাদের বাড়ি আসতে পারবি।
ইশান: কেন কী হয়েছে?
মায়া:  আমার বিয়ে
ইশান : ফাজলামো করিস না কী হয়েছে বল? বিয়ে মানে কী
মা : ইশান বাবা কোথায় রে বাইরে আয়?
ইশান: মায়া একটু কলে থাক আমি আসছি মা ডাকছে কী হয়েছে যেন?
ইশান: মা কী হয়েছে?
মা: বনীর বাবা হ্যার্ট এটাক হয়েছে হাসপাতালে আছে তোকে যেতে বললো বনী? তোরটাই ফোন করছিল পাচ্ছিল না।
ইশান: কী বলছো কাকু হাসপাতালে। আমি এখন ই যাচ্ছি।
মায়া : কল কেটে দিলো ইশান আমি তো ইশানকে কিছু বলার সুযোগ ই পেলাম না। 
মা : মায়া কাল ইয়াসের মা ভাই আর ওদের আত্মীয় আসবে আশীর্বাদ করতে।
মায়া: 
(রাত ১২:৩৫মিনিট)
ইশান: মা তুমি এখন ও ঘুমাওনী।
মা : এখন বানীর বাবার কী অবস্থা
ইশান: একটু ভালো ডাক্তার বললো ভয়ের কিছু নেই। মা তুমি শুয়ে পড়ো দাদা রাতে হাসপাতালে থাকবে সকালে বাড়ি আসলে কাল আমি ওখানে যাব বলে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।
মা : আচ্ছা।
ইশান: মায়া কী বলছিস এবার ফোন করে শুনী।
কী হলো মায়ার ফোন বন্ধ কেন ? এবার তো চিন্তা হচ্ছে ঠিক আছে তো ও।

লেখিকা (আরাধ্যা)
Part - 4  পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ সবাইকে