মা : দেখ ছেলেটাকে এখন থেকে আমাদের ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব দাও যথেষ্ট বড় হয়েছে ও।
বাবা: একটু সময় দাও আমাকে তাছাড়া তো অনি দেখছে তাই না
মা : সে ঠিক আছে কিন্তু রাজেরও তো দায়িত্ব নেয়া দরকার তাই না৷
বাবা: আচ্ছা কোথায় তিনি এখন?
মা : বাড়ি থাকে তিনি কোথায় কোথায় ঘুরে বেরায় সাধে কী আর বলছি তোমাকে।
“”””””””””””‘””************”””””””””””””
রাজ: মেঘলা শোন
মেঘলা: কিছু বলবে
রাজ : তুমি কী দেখো আমি প্রতিদিন তোমার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।
মেঘলা : হুম দেখি তো আর আমি এটাও জানি তুমি আমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকো।
রাজ: সত্যি তুমি জানো?
মেঘলা: হুম আরো অনেক কিছুই তো জানি
রাজ : আচ্ছা আর কী জানো বল তাহলে?
মেঘলা: তুমি আমাকে ভালোবাসো তুমি আমার সাথে কথা বলতে চাও। কিন্তু ভয়ে বলতে পারো না ।
রাজ : মোটেও না আমি তোমাকে ভয় পাবো কেন?
মেঘলা : জানি না তুমি জানো আচ্ছা আমি এখন আসি আমার অনেক দেরি হয়ে গেল।
রাজ: দাঁড়াও তুমি আমাকে পছন্দ করো কিনা বললো না তো।
মেঘলা : কেন জানো না তুমি আর আমি তোমাকে পছন্দ না করলে কীভাবে বুঝলাম তুমি আমাকে ভালোবাসো
রাজ : তারমানে তুমি ও আমাকে ভালোবাসো
****★-*****★*****
বাবা: অনির আর রাজ ২জনকেই যদি আমারা চ্যাটাজী পরিবারের ২মেয়ের৷ সঙ্গে বিয়ে দিই তাহলে ওদের সাথে আমাদের পরিবার সম্পর্ক ভালো হবে আর ব্যবসায়িক দিকটাও লাভই হবে তুমি কী বলো রমা?
মা: মন্দ না, তবে রাজ বিয়ে করতে রাজি হবে তো।
বাবা: শোন বিপিন চ্যাটাজী অনেক আগেই ওনার ছোট মেয়ের জন্য রাজের কথা বলছে কিন্তু আমি তখন ওতো ভাবিনী।
মা:দেখ, রাজকে রাজি করাতে পারো নাকি।
★**★********★*****★
রাজ : মা বাবা আমাকে ডেকেছে শুনছি
মা:হ্যাঁ বাবা তোর বাবা ঘরে আছে যা।
রাজ:বাবা কী হয়েছে বলো
বাবা: অনির সাথে আমি তোমার ও বিয়ে দিতে চাই এখই দিনে আর মেয়ে আমি ঠিক করছি চ্যাটাজী বাড়ির ছোট মেয়ে।
রাজ: দাদাকে বিয়ে দিবা দাও আমার কোনো আপত্তি নেই কিন্তু আমি বিয়ে করবো না।
বাবা:কেন সমস্যা কী তোমার?
রাজ :বাবা দাদা তোমার কথায় আর ব্যবসার লাভে চ্যাটাজী বাড়ি মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে কিন্তু আমি তো দাদা নয় তাই না।
বাবা:মানে তুমি কী বলতে চাইছো?
রাজ:বাবা আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি বিয়ে করলে ওকে করবো।
বাবা:কাকে ভালোবাসো তুমি কোথায় বাড়ি কোন পরিবারে।
রাজ: মেঘলা ওর নাম সরকার পরিবার।
বাবা:কী তুমি আমার ছেলেহয়ে ব্রাম্মন বংশের হয়ে কায়স্ত বংশের সরকার পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে চাও রমা রমা এদিক আসো*****
মা : কী হয়েছে
বাবা: তোমার ছেলে আমার মান সম্মান সব শেষ করে দিবে বলে কিনা বিয়ে করলে সরকার বাড়ির মেয়েকে করবে।
মা: কী রাজ তুই এসব বলছিস ছি ছি তোকে এতোদিন মানুষ করছি এসব শোনার জন্য।
রাজ: মা ভুল কোথায় আমি মেঘলাকে ভালোবাসি আর ও কোন বংশের কোন পরিবারের তাতে কী যায় আসে ভালোবাসা কখনো জাত -পাত দিয়ে হয় না মা।
মা: চুপ কর লজ্জা করে না তোর এসব কথা বলতে ছি ছি তোর বাবার সম্মানের কথা ভাবলি না একবারও।
আর ওই মেয়েকে আমি কোনোদিন ও এইবাড়ির বউ হিসাবে মেনে নিবো না।
রাজ: ঠিক আছে তোমরাও শুনে নাও বিয়ে করলে ওকেই করবো না হলে করবো না।
মা: কিছু একটা কর না হলে ছেলে তোমার সব শেষ করে দিবো।
বাবা: হুম ঠিক ই বলেছো
মহেশ বাড়ি আছো?
মহেশ : আরএ ব্যানাজী বাবু যে, হঠাৎ আমার বাড়ি?
ব্যানাজী: তোমার মেয়েকে আমার ছেলে বিয়ে করবে তা তোমার কী মনে হয় মহেশ তোমার মেয়ে আমার বাড়ির বৌমা হওয়ার যোগ্য
মহেশ :ছি ছি বাবু কী বলেন, আপনারা কোথায় আর আমারা কোথায়।
ব্যানাজী: তাহলে বুঝতে পেরেছো যাক, শোনো তোমার মেয়ে বিয়ে দিয়ে দাও তাড়াতাড়ি যত টাকা লাগে আমি দিবো।
মহেশ :আচ্ছা বাবু চিন্তা করবেন না আজ থেকে ওর জন্য ছেলে খুঁজবো। আর টাকা লাগবে না আমার, আমরা গরীব হতে, পারি কিন্তু একটু হলেও মান সম্মান আমাদের ও আছে।
চ্যাটাজী: ঠিক আছে, কথা টা মাথায় রেখো তাহলে এখন আসি।
(১৫দিনপর)
রাজ :বিটু মেঘলা কলেজ আসে না কেন রে জানিস
বিটু: হুম মেঘলাকে তো মামা বাড়ি পাঠিয়ে দিছে আর ওর জন্য ছেলেও দেখেছে ওখানে।
রাজ: কী বলিস চল, আমার সাথে এখন ই
মেঘলা মেঘলা
মেঘলা: তুমি এখানে ও চলে আসছো কিছু দিন পর আমার বিয়ে আর কী চাও।
রাজ : বিয়ে মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি বিয়ে করলে আমি তোমাকে করবো।
মেঘলা: না রাজ তোমার উচ্চ বংশের সাথে আমার নিম্ন বংশের যায় না তোমার ব্রাম্মন পরিবার তুমি বাড়ি ফিরে যাও।
রাজ: না আমি বাড়ি একা যাবো না গেলে তোমাকে সঙ্গে নিয়েই যাব।
মেঘলা: কী চাও তুমি রাজ আমাকে বিয়ে করতে এসমাজ এ পরিবার কখনো মেনে নিবে না তোমার আমার ভালোবাসা আর আমিও চাই না আমার বাবা অপমান হোক, তুমি উচ্চ বংশের তোমার বাবার মান সম্মান নষ্ট হোক।তুমি বাড়ি ফিরে যাও ।
আর কোনো দিন আমার সামনে এসো না
( কী ভাবছেন ২০২৩সালে দাঁড়িয়ে আবার এসব জাত-পাত মেটার করে বিয়ে করতে করে যুগ যতই আধুনিক হোক না কেন কিছু মানুষের মন মানসিকতার সেই পুরানোই থেকে গেছে। তারা সম্পক, ভালোবাসা বোঝে না তারা বোঝে উচ্চ বংশ, নাম খ্যাতি,যশ,টাকা পয়সা আর এসব এর জন্য আমরা সবাই যে মানুষ আমরা যে একই সৃষ্টিকতার সৃষ্টি এটা ভুলে গিয়ে এরকম ভালোবাসাকে মেরে ফেলি কিন্তু সত্যি কী কাউকে ভালোবাসা পাপ না ভালোবাসা পবিত্র জিনিস তাই সবাই কে ভালোবাসতে শিখুন অহংকার, হিংসা লোভ ত্যাগ করে)
লেখিকা ★(Aradhya)★
0 মন্তব্যসমূহ