বেশির ভাগ লোকেই বলে মেয়েরা, ছলনাময়ী, চতুর মেয়েরা নাকি শাড়ি, গহনা ভালোবাড়ি পেলে সবভুলে যায় এসবএর কাছে তারা বিক্রি হয়ে যায়।
কিন্তু এইকথা গুলো সবমেয়েদের জন্য ঠিক না।
জানি না তোমারা জানো কী না আর আমি বললে মানবে কী না, একটা মেয়েকে একটা ছেলে পাগলের মতো ভালোবাসার পর যখন আই লাভ ইউ বলে তখন মেয়েটা যে পরিমান খুশি হয় না তার থেকে শতোবেশি পরিমান কষ্ট সে তখন পায় যখন পরিস্থিতির চাপে পড়ে ছেলেটা সামনে দাঁড়িয়ে হাসি হাসি মুখ নিয়ে বলে তোমার স্বামীর সাথে ভালো থেকো।
মেয়েটার হয়তো কিছুই বলার থাকে না তবে, ভিতর থেকে কষ্ট, দুঃখ,প্রকাশ করার পথও খুঁজে পায় না তখন।
মেয়েরা ছলনাময়ী নই বরং সারাজীবন অসহায়। না তাদের নিজের নিদিষ্ট একটা বাড়ি আছে না আছে কষ্ট বোঝার মতো কেউ ।
ছেলেটা মেয়েটার সুখের কথা চিন্তা করে তাকে ত্যাগের মাধ্যমে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে হয় যায় মদ্যপানী, গাঁজাখোর, মাতাল।আর তখন এই পৃথিবীর চোখে মেয়েটা হয়ে যায় ছলনাময়ী, লোভী।
কিন্তু ছেলেটা কখনো এটা ভাবেই না যে আমি তো ওকে অনেক ভালোবাসতাম, পুরো পাগলের মতো আমি এখন মাতাল, গাঁজাখোর হয়ে গেছি শুনে সত্যি ও কী ভালো আছে সুখে আছে।
নাকি শতো কষ্ট দুঃখ হৃদয়ে চাপা দিয়ে নতুন জায়গায় নতুন লোকজন মানিয়ে নিয়ে সংসার করে যাচ্ছে। ও ভিতর থেকে তীলে তীলে শেষ হয়ে যাচ্ছে না তো।
সবাইকে বলছি, সবমেয়েকে ছলনাময়ী বলো না কারণ সব মেয়ে লোভী ছলনাময়ী হয় না কিছু মেয়ে সত্যিকারের ভালোবাসতেও পারে, তারাও সত্যিকারের ভালোবাসা বোঝে। শাড়ি, গহনা,ভালোবাড়ি,পেলেও তারা সবভুলে যায় না।
তারা অসহায়, পরিস্থিতির চাপে পড়ে বুকে কষ্ট চাপা দিয়ে ভালো থাকার, সুখে থাকার অভিনয় করে যায়।
হয়তো বোবা কান্না সে প্রতিরাতেই কাঁদে । আর সবার সামনে হাসিমুখে সব মেনে নেই।
হ্যাঁ, এটায় নারী।
আদর্শ পুরুষ তো সেই, যে নারীর শরীর না
হৃদয় স্পর্শ করছে সেটা প্রেমিক হোক বা স্বামী ।

লেখিকা আরাধ্যা রায়