আমি অনি বাবা মায়ের ছোট ছেলে আমার দাদা সফটওয়ার প্রোগ্রামিং শেষ করে আমেরিকার জব পেয়েছে সেখানেই থাকে বৌদিকে নিয়ে। আমি বাবার মার সাথে কলকাতায় থাকি টাটা কোম্পানিতে জব করছি, বাইরে আমিও যেতে পারতাম কিন্তু মা বাবাকে ছাড়তে মন কিছুতেই সাই দিলো না। অনেক কষ্টে ৪ দিনের ছুটি পেয়েছি আমার বাবার বন্ধুর মেয়ের বিয়েতে আসার জন্য। 
ওনাদের বাড়ি বগুলাতে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে ওনাদের গ্রামের বাড়িতে জায়গায় টা নাম মাধবপুর হবে হয়তো । যায় হোক মা বাবা আমি বেরিয়ে পড়লাম। 

বাবা : অনি তোকে সেই কোন ছোট বেলায় আংকেল দেখেছে দেখবি কেমন চমকে উঠে তোকে দেখে। 

 মা : সে আর বলতে ☺️😊😊😊
 
চলে আসলাম মাধবপুর। সত্যি গ্রামটা অনেক সুন্দর, আর শহরে থাকি গ্রামের প্রকৃতি অপরূপ লাগছিলো। আংকেল আন্টি আমাদের ভেতরে নিয়ে গেলো। 
 
আংকেলের মেয়ে পূজা তারই বিয়ে পরশু। পূজা আমার সাথে বসে কথা বলছিলো এর মধ্যে কেউ একজন পূজাকে ডাকলো পূজা কোথায় রে তুই ---------
 কী অপরূপ কন্ঠ মনে হলো কন্ঠ টা শুনে হৃদয় ভরে গেলো এতো সুন্দর কন্ঠ কে সে দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠলো দেখি গিয়ে কে সে মায়া কন্ঠী। 

বাইরে গিয়ে দেখি কেউ নেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো পূজা ও নেই । 

মা : কী রে কাউকে খুঁজেছিস 
  
অনি : না মা কিছু ই না এমনি দেখছিলাম। 

রাতে খেতে বসেছি কিন্তু খাবার আমার গলা দিয়ে নামছে না মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে সেই কন্ঠ কেন জানি বার বার আমার কানে বাজছে। না পূজার সাথে কথা বলতে হবে জানতে হবে কে সে এই ২৭ বছর বয়সে আমার কখনো এমন হয়নী অথাৎ কী করে এই কন্ঠ শুনে আমি এমন হয়ে গেলাম 🙃।

আন্টি : বাবা অনি কী হয়েছে খাচ্ছো না কেন, গ্রামে এসে খুব গরম লাগছে, খুব অসুবিধা হচ্ছে তাই না। 

অনি : না না আন্টি তেমন কিছু ই না । আসলে তেমন খিদে লাগে নী তাই। 

মা : কেন কী হয়েছে খিদে লাগে নী 

আন্টি : আসলে এখানে এসে একটু সমস্যা সবার ই হচ্ছে কিন্তু ওর দাদু ঠাম এর জন্য এখানে এসে বিয়ে দেওয়া না হলে তো বগুলাতেই বিয়ে হতো। 

রাতের খাবার পর পূজার রুমে গেলাম। 

পূজা : অনি তুমি ভেতরে আসো। 

অনি : আচ্ছা পূজা বিকালে তখন তোমাকে কে ডাকছিলো। 

পূজা : ও আমার প্রিয় বান্ধবী পরিণীতা কি কেন? 

অনি : না এমনি শুনছিলাম। 

পূজা : তুমি যাবে ওদের বাড়ি চলো নিয়ে যায়। 

অনি : না না এতো রাতে যেতে হবে না 

পূজা : আরএ চলো তো 

পূজাকে বেশি জোর করা লাগলো না আমি তো তাকেই দেখতে চাই এতো সুন্দর কন্ঠ যার জানিনা সে কত সুন্দর। 
আমরা পরিনণীতাকে দেখতে চললাম। হৃদয় একটু শান্ত হল যেন 

পূজা : পরি দরজা খোলা, ও কাকিমা কোথায় তোমারা 

দরজা খুলতেই আমি পুরো চমকে উঠলাম কী 😍😍 সুন্দর এতো সত্যি পরী 😊😊😊😊😊 আমি চোখ সারাতেই পারছি না। পূজা কী হলো অনি ভেতরে চলো। 
পরিণীতার মা এলো। একটা ছোট ছেলে এলো পূজা ওকে কোলে তুলে নিলো। ছেলেটার খুব সুন্দর । 
 পূজা গল্প করছিলো আর আমি শুধু এক দৃষ্টে পরিণীতাকেই দেখছিলাম। 

লেখিকা ( আরাধ্যা রায়)

পরবর্তী পার্ট পড়তে সঙ্গে থাকুন ❤️